নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ভোট। এত বিশাল সংখ্যক এলাকায় করোনা বিধি মেনে ভোট করাতে লাগবে প্রচুর ইভিএম ও ভোটকর্মী। সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এত সংখ্যক মানুষ ও মেশিনকে বয়ে নিয়ে যেতে লাগবে গণ পরিবহন। প্রত্যেকবারে সেইভাবেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাস মালিকদের থেকে চুক্তির বিনিময়ে বাস নেন। এবারেও তেমনটা হওয়ার কথা, কিন্তু কিছু দাবি জানিয়ে বাস দিতে নারাজ মালিকেরা। প্রত্যেকবারেই পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস থেকে ওই বাসের তালিকা পৌঁছে যায় জেলাশাসকের কাছে। কমিশন মারফৎ জেলাশাসকই ওই বাসগুলির ভাড়া মিটিয়ে দেন।
কিন্তু বাস মালিকদের অভিযোগ ভোটে বাস দিলে লোকশান হয়। আবার অনেক সময় সঠিক ভাড়া সময়ে পাওয়া যায় না। তাই বাস দিতে নারাজ। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস ও বাস মালিকেরা। সেখানেই কমিশনারকে বাস মালিকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনটি দাবি রয়েছে তাঁদের। না মানলে বাস দেওয়া যাবে না পুরভোটে। বুধবারের বৈঠকে কিছু বিষয় তুলে ধরে সংগঠনগুলি। বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়, বিগত ভোটগুলির অনেক টাকাই এখন বকেয়া রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। জেলাশাসক অফিসে বার বার যোগাযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। ভোট মিটলেই কেউ পাত্তা দেয়নি তাদের। তাই বকেয়া ভাড়া দিতে হবে তবেই বাস পুরভোটে কমিশনকে দেবেন তাঁরা।
এছাড়াও বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বার বকেয়া কিছু টাকা থেকে যায়। যা আদায় করা যায় না। তাই এ বার বাস নিতে হলে অগ্রিম টাকা দিয়ে নিতে হবে। দাবিতে জানানো হয়েছে, এখন ডিজেলের দাম অনেক বেশি। তাই কমিশন যে টাকা বরাদ্দ করে তা যথেষ্ট নয়। এখন পরিস্থিতি বিচার করে সংগঠনগুলি যে ভাড়া নির্ধারিত করবে তা যেন মেনে নেয় কমিশন। তবে কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি পরিবহন দফতরের আঞ্চলিক অফিস দেখে ও জেলা শাসকরা ঠিক করেন সব। তাই তাঁরা যা বলবেন কমিশন সেইভাবেই কাজ করবে।