এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়তে চান অধীর, কংগ্রেস মজে মমতায়

Courtesy - Google

কৌশিক দে সরকার: বড়ই বিড়াম্বনায় পড়ে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। দুনিয়া তাঁকে চেনে কট্টর মমতা বিরোধী হিসাবেই। তিনি নিজেও বার বার সেটাই প্রমাণও করেছেন। ২০১১ সালের পরিবর্তনের যুগেও তিনি মমতার পাশে না দাঁড়িয়ে বামেদের সঙ্গে দোস্তি করেছিলেন। নিজ জেলা মুর্শিদাবাদের মাটিতে অলিখিত ভাবে অঘোষিত ভাবে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতায়ও গিয়েছিলেন। ১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে সেই বাম-কংগ্রেস জোট সরাসরি মমতা ও তৃণমূল বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল। তাতেও লাভ কিছু হয়নি। মোদি জমানায় তাঁর জেলাতেই আবার একুশের ভোটে ফুটেছে পদ্ম। তিনি নিজেও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ভীষণ ভাবেই বাম ও বিজেপি বান্ধব হয়ে উঠেছেন। এবার সূত্রে জানা গেল, ২৪’র ভোটে(General Election 2024) বাংলার(Bengal) মাটিতে তৃণমূল(TMC) ও কংগ্রেসের(INC) মধ্যে জোট হলে তিনি নাকি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ইস্তফা দিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে বহরমপুর থেকে লড়াই করবেন। নজরে অন্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বিরোধী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভায় দলের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury)।  

অধীর কতটা মমতা বিরোধী সেটা নতুন করে প্রমাণের কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি এখনও আপ্রাণ ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে কোনও ভাবেই ২৪’র ভোটে বাংলার মাটিতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে কোনও জোট না হয়। তাঁর ইচ্ছে জোট হোক বাম-কংগ্রেসের। অঘোষিত ইচ্ছে সেই জোটে থাকুক বিজেপিও। কিন্তু এর জন্য প্রকাশ্যে যেমন তিনি বেজেপির পাশে দাঁড়াতে পারছেন না, তেমনি জোর গলায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যেকার জোটের বিরোধিতাও করতে পারছেন না। কংগ্রেস সূত্রেই তিনি নাকি দলের হাইকম্যান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা অনিচ্ছার কথা। সেখানে বামেদের সঙ্গে জোটের কথা যেমন তিনি জানিয়েছেন, তেমনি তৃণমূলের সঙ্গে জোট হলে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বহরমপুর থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়তে চান সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। মজা হচ্ছে, সূত্রে জানা গিয়েছে, অধীরের এই সব যুক্তি, ইচ্ছাঅনিচ্ছা, প্রস্তাব, সিদ্ধান্ত, কোনও কিছুই নাকি দাগ কাটছে না সোনিয়া গান্ধি(Sonia Gandhi), রাহুল গান্ধি ও মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে। কার্যত তাঁরা অধীরের দিকে দৃষ্টিপাত না করে, তাঁর কথা কানে না তুলে, মাথায় না নিয়ে কার্যত একরকম বাইপাস করে মমতা পানে তাকিয়ে আছেন।

বস্তুত, অধীর আজ যাই বলুন না কেন তার কোনও কিছুই গুরুত্ব পাচ্ছে না কংগ্রেসের শীর্ষস্তরে। কেননা তাঁর ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের অন্ধ মমতা বিরোধিতার কারণেই একুশের ভোটে বাংলার বিধানসভা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। অথচ সেই শূন্যস্থান পূরণ করে দিয়েছে বিজেপি। মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুরের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একসময়কার কংগ্রেস প্রভাবিত জেলাগুলিতে খাতা খুলেছে বিজেপি। এইসব কিছু ঠেকাতে পারেননি অধীর। তাঁদের অন্ধ মমতা বিরোধিতার কারণেই বাংলার ভোটে বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ সফল হয়েছে অনেকটাই। মমতা ও তৃণমূল বিরোধী যাবতীয় ভোট শুষে নিয়েছে একা বিজেপি। কংগ্রেস হারিয়ে গিয়েছে।

আর তাই নতুন করে অধীরকে গুরুত্ব দিতে চান না সোনিয়া, রাহুল ও খাড়গে। তাতে যদি অধীর দল ছেড়ে চলেও যান তাতেই কিছু আসে যায় না তাঁদের। অধীরের থেকে মমতা এখন অনেক অনেক দামি তাঁদের কাছে। মমতার মোদি ও বিজেপি বিরোধী ভাবমূর্তির গ্রহণযোগ্যতার ধারেকাছে নেই ভূ-ভারতের কোনও নেতা। অঘোষিত ভাবে মমতাই এখন দেশে তৈরি হওয়া বিজেপি বিরোধী জোট INDIA’র মুখ হয়ে উঠেছেন। তাই তাঁকে গুরত্ব না দিয়ে উপায় নেই কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে। আর তাই পাত্তা পাচ্ছেন না অধীর। কার্যত তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও এবার প্রশ্নের মুখে চলে এসেছে। অপেক্ষা শুধু বাণপ্রস্থ তথা রাজনৈতিক সন্ন্যাসের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

ফের রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে শাহি ঘোষণা ব্যুমেরাং হবে, আশঙ্কায় বঙ্গ বিজেপি

মালদায় বাজ পড়ে মৃত্যু ১১ জনের, শোকপ্রকাশ মমতার

উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় বদল, জায়গা করে নিল আরও ১২ জন

প্রচারে বেরিয়ে আচমকা অসুস্থ সায়নী, বাতিল সমস্ত কর্মসূচি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর