নিজস্ব প্রতিনিধি: ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘What Bengal thinks today, India thinks tomorrow’। মানে বাংলা(Bengal) যা আজ ভাবে, ভারত(India) ভাবে আগামীকাল। সেটাই এখন একটু ঘুরে গিয়েছে, যা মমতা ভাবে আজ তা কাল ভাববে INDIA। এদিন দিল্লিতে(Delhi) পেশ হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল(Arvind Kejriwal) সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট। সেখানেই বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের(Lakhir Bhandar) ধাঁচে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন দিল্লির অর্থমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা। কার্যত আবারও প্রমাণ হয়ে গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পথই সঠিক। তা সে নারীর ক্ষমতায়ণের প্রসঙ্গ হোক কী নারীর আর্থিক স্বনির্ভতার প্রসঙ্গ। মমতাই ঠিক। আর আগামিদিনে সেই পথেই হাঁটা দিতে হবে দেশে তৈরি হওয়া বিজেপি বিরোধী জোট INDIA-কে। আজ যা কেজরির সরকার করছে, তা আগামিদিনে INDIA জোটের সব দলকে অনুসরণ করতে হবে। অনুসরণ কেজরিকে নয়, অনুসরণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বাংলার বুকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছিলেন তখন বিরোধী সব করে রব করে হল্লা জুড়েছিল, ভুয়ো প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে ২ কোটিরও বেশি মহিলার মাসিক আয়ের রাস্তা খুলে দিয়েছে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে সেই সব মহিলাদের মধ্যে তপশিলী জাতি ও উপজাতির মহিলারা পাবেন ১২০০টাকা করে প্রতি মাসে। অর্থাৎ সারা বছরে ১৪৪০০ টাকা। আর যারা সাধারণ বাড়ির মহিলা তাঁরা পাবেন মাসে ১০০০ টাকা করে বছরে ১২০০০ টাকা। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারও সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচেই মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা চালু করার কথা জানিয়ে দিল। দিল্লির বাসিন্দা যে সব মহিলার ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছেন তাঁদের সবাই মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন আগামী দিনে। আর শুধু দিল্লি নয়, দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কর্ণাটকেও তো লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুকরণে গৃহলক্ষ্মী স্কিম চালু হয়েছে। যা কার্যত বলে দিচ্ছে, মমতা যা আজ ভাবেন তা কাল ভারত ভাববে। বলা ভাল, ভাবতে বাধ্য হবে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব, দূরদর্শিতা, সার্থকতা।