নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই নির্দেশের পরেই সিবিআই তিনটি এফআইয়ার দায়ের করে। জানা গিয়েছে, ইডিরই ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরব ভারিলের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করে সিবিআই। তবে সেই এফআইয়ারে কোথাও উল্লেখ নেই ইডির আধিকারিকদের ওপর প্রাণহানি হামলা হয়নি।
সন্দেশখালির ঘটনার ঠিক দু’মাস পর এই মামলায় যখন এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই অভিযোগপত্রে দাঙ্গা, মারণাস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র হামলা, সরকারে কাজে বাধা, সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো বিষয় উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সেখানে ৩০৭ ধারা বা হত্যার চেষ্টার ধারার কথা যোগ করা হয়নি।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির সরবেরিয়ায় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে জেরার জন্য হানা দিয়েছিল ইডির আধিকারিকরা। আর ওই হানা দিতে গিয়েই জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল ‘বিজেপি বান্ধব’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জনরোষের মুখে পড়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিল বীরপুঙ্গব আধিকারিকরা। ওই দিনই ন্যাজাট থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। ওই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ ও সিবিআইকে নিয়ে যৌথ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।