নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: লোকসভা ভোটের মুখেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ ‘ডিগবাজি’ কুমারের দল ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা চার বারের সাংসদ মোহাম্মদ আলি আশরাফ ফাতমি। মঙ্গলবার সংযুক্ত দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নীতীশ কুমারের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। দ্বারভাঙার চার বারের সাংসদের দল ছাড়ার পরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে, রাষ্ট্রীয় জনতা দলে (আরজেডি) সামিল হতে পারেন ফাতমি। যদিও এ বিষয়ে নিজের অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শুধু জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবেন।
গতকাল সোমবারই বিহারে এনডিএ’র জোট শরিকদের মধ্যে আসন রফার কথা ঘোষণা করা হয়। ওই রফা অনুযায়ী, রাজ্যের ৪০ আসনের মধ্যে ১৬ আসনে লড়বে নীতীশের জেডিইউ। ১৭টি আসনে প্রার্থী দেবে বিজেপি। বাকি ৭ আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে লড়বে চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। আর একটি করে আসনে লড়বে জিতনরাম মাজি ও উপেন্দ্র কুশাওয়াহার দল। যদিও ওই আসন রফায় ক্ষুব্ধ হয়ে এদিন সকালেই কেন্দ্রের মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছেন রামবিলাসের ভাই পশুপতি পারস।
আসন রফা ঘোষণার পরে নীতীশের দল জেডিইউয়ের অন্দরেও শুরু হয়েছে বিদ্রোহ। যে দ্বারভাঙ্গা আসন থেকে চার বার সাংসদ হয়েছিলেন দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলি আশরাফ ফাতমি, সেই আসন বিজেপিকে ছাড়া হয়েছে। অর্থাৎ ওই আসনে আর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাঁর। তাই নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে জেডিইউ ছেড়ে ফাতমি ফের তাঁর পুরনো দল আরজেডিতে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।