নিজস্ব প্রতিনিধি : জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও হুমকি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এই ঘটনায় পরিমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আর্জি জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য ২০২২ সালের ৬ জুলাই সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ অভিনেত্রী পরীমণি-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই। অপর দিকে পরীমণির ছোড়া মদের গ্লাসে নাসির উদ্দিন মাহমুদের আঘাত লাগার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারীরা।
এই নিয়ে পরীমণির আইনজীবী জানান, নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।পরীমণি সম্পূর্ণ নির্দোষ।যদিও ঢাকাই সিনেমার বিতর্কিত নায়িকা পরীমণি অভিযোগ করেছিলেন, ৮ জুন রাতে তাঁকে কৌশলে ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তাঁর পূর্বপরিচিত তুহিন নামের একজন। সেখানে জোর করে তাঁকে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণের এবং হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। পাশাপাশি নাসির পাল্টা দাবি করেছিলেন ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমণি তাঁকে ডাক দেন। পরে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তিনি না দেওয়াই মদের গ্লাস ছুঁড়ে মারেন যা তাঁর মাথায় ও বুকে লাগে বলে মামলায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি।