নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের রাজ্য নেতৃত্ব শোকজ করেছে। তার জেরেই দুই নেতা চিঠি পাঠাচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও দলের দুই নম্বর নেতাকে। কিন্তু সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই চিঠিতে চিঁড়ে না ভেজার সম্ভাবনাই সমূহ। উল্টে যার পরামর্শে তাঁদের এই পদক্ষেপ তাঁর মন্ত্রীত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে নর্থ ব্লকে। নজরে বঙ্গ বিজেপির দুই বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি যাদের দল শোকজের নোটিস ধরিয়েছে। একই সঙ্গে নজরে শান্তনু ঠাকুর যার পরামর্শে এই দুই নেতা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠাতে চলেছেন যাতে তিনি তাঁদের সময় দেন। তবে যা পরিস্থিতি তাতে শাহ-নাড্ডা দুই বিক্ষুব্ধ নেতাকে সময় নাও দিতে পারেন। একই সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের লাগাতার মদত দেওয়ার জন্য শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রীত্ব নিয়েও টানাপোড়েন পড়ে যেতে পারে। কেননা বঙ্গ বিজেপিতে বিক্ষুব্ধদের ছিঁটেফোঁটা রেয়াত করতে রাজি নয় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।
বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিতে চলেছেন। তাঁদের সেই চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। যিনি শুধু বিজেপির সাংসদই নন, কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও। বঙ্গ বিজেপির দুই বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ ও রীতেশকে দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে শোকজের নোটিস ধরানো হলেও তার উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। সেই ফাঁকেই গোটা বিষয়টি নিয়ে শাহ ও নাড্ডার দ্বারস্থ হতে চান জয়প্রকাশ ও রীতেশ। সম্ভবত তাঁরা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লি গিয়ে শাহ ও নাড্ডার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে চান। তবে বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছে, শাহ বা নাড্ডা কেউই এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের সময় দিতে চান না। কেননা বঙ্গ বিজেপিতে সংগঠনে যে সব রদবদল হয়েছে তার খুঁটিনাটি বেশ ভালই জানেন শাহ ও নাড্ডা। শুধু তাই নয়, তাঁদের ও সঙ্ঘের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ওই রদবদলে। তাই জয়প্রকাশ ও রীতেশ সেখানে গিয়ে কলকে খুঁজে পাবেন এমটা ধরে না নেওয়াই ভাল। বরঞ্চ বিক্ষুব্ধদের মদর দেওয়ার ঘটনায় শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রীত্ব যেতে পারে এমন আশঙ্কাই এখন ক্রমশ বেড়ে চলেছে।