এই মুহূর্তে




ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পরিকল্পনা ছিল ছয় বিস্ফোরণের, বাবরি ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতেই বেছে নেওয়া হয় তারিখ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে রাখে হরি মারে কে। ভারতের ক্ষেত্রেও একথা আংশিক সত্য। নাহলে দিল্লি বিস্ফোরণ যেভাবে হল তা তো এমনভাবে হওয়ার কথা ছিল না। হয়তো ১৩ জনের মৃত্যু রূপান্তরিত হত ১৩০০ জনের মৃত্যুতে। সম্প্রতি দিল্লি বিস্ফোরণ এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার কথা সামনে এসেছে। জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি সন্ত্রাসী মডিউলটির পরিকল্পনা ছিল ৬ ডিসেম্বর দিল্লির ছয়টি স্থানে বিস্ফোরণের। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়েছিল বাবরি মসজিদ। বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা স্বীকার করে নিয়েছে যে তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতেই এই তারিখটি বেছে নিয়েছিল।

শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রের মতে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী মডিউলের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছে যে তারা দিল্লিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। তদন্তকারী আধিকারিকরা পাঁচ-পর্যায়ের পরিকল্পনার বিবরণ ভাগ করে নিয়েছেন।

প্রথম পর্যায় : জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসী মডিউল গঠন

দ্বিতীয় পর্যায়  : হরিয়ানার নুহ এবং গুরুগ্রাম থেকে প্রাপ্ত ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি এবং গোলাবারুদ সাজানোর জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ

তৃতীয় পর্যায় : প্রাণঘাতী রাসায়নিক বোমা অর্থাৎ কেমিক্যাল আইইডি তৈরি এবং বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য সম্ভাব্য স্থানের অনুসন্ধান

চতুর্থ পর্যায়: অনুসন্ধানের পর মডিউলের সদস্যদের মধ্যে বোমা বিতরণ

পঞ্চম পর্যায় : দিল্লির ছয় থেকে সাতটি স্থানে একসঙ্গে বোমা হামলা চালানো

তদন্তকারীদের মতে, মূল পরিকল্পনা ছিল এই বছরের অগস্টে হামলা চালানো। কিন্তু বেশ কিছু কারণে তা সম্ভব হয়নি। বদলে বেছে নেওয়া হয় অন্য একটি তারিখ। ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকী, তাই ওই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়। ষোড়শ শতকের মসজিদ ছিল বাবরি মসজিত যা শ্রীরামের জন্মস্থানে নির্মিত বলে মনে করা হয়। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর একদল হিন্দু করসেবক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর একই স্থানে একটি নতুন রাম মন্দির নির্মিত হয়। এর নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল, শেষ হয়েছে চলতি বছর। জৈশ-ই-মহম্মদ বছরের পর বছর ধরে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, জৈশ প্রধান মাসুদ আজহার তার সাপ্তাহিক কলামে অযোধ্যাকে লক্ষ্যবস্তু করার আবেদন জানিয়েছেন।

সোমবার ১০ নভেম্বর দিল্লির লাল কেল্লার কাছে আত্মঘাতী হামলা হয়। বিস্ফোরণের জেরে লাল কেল্লার কাছে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যক্সায়। গুরুতর জখম হন ৩০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণ হওয়ার আগে লালকেল্লার সামনেই I 20 গাড়িটি তিন ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই গাড়িতে ছিল পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক উমর নবি। সেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণটি ৬.৫২ নাগাদ ঘটে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির মালিককে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। দেড় বছর আগে i-20 গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে জৈশ-ই-মহম্মদের যোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ভুটান সফরের সময়ই জানান অপরাধীদের ছাড়া হবে না। শিকড় পর্যন্ত গিয়ে সন্ত্রাস নির্মূল করা হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গিরিডিতে সাইবার জালিয়াতি চক্র উন্মোচিত, জামতারা থেকে পুলিশের হাতে মাস্টারমাইন্ড সহ পাঁচ

‘ভারত-আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিমুখী লড়াইয়ে প্রস্তুত পাকিস্তান’, হাস্যকর দাবি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

চিন সীমান্তে নতুন সামরিক বিমানঘাঁটি উদ্বোধন ভারতের, নেপথ্যে কোন পরিকল্পনা?

ভিএইচপি নেতার গ্রেফতারি, চাপের মুখে প্রশাসন? রাতারাতি বদলি করা হল ‘লেডি সিংহম’ ADM ঋতুকে

CPIM-র ৬ কর্মীকে অপহরণ ও খুনে ৪৫জনকে যাবজ্জীবন

তীব্রতা ছিল ভয়ানক, লালকেল্লায় বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে দোকানের ছাদে উদ্ধার কাটা হাত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ