নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে দৈনিক কোভিডের সংক্রমণ ১০০’র নীচে নেমে গিয়েছে। খুলে গিয়েছে সব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। খুলে গিয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। খুলে গিয়েছে সব দোকানবাজার, হাট, শপিংমল, বার রেঁস্তোরা, সিনেমা হল এমনকি মাল্টিপ্লেক্স, পার্ক, পর্যটনস্থল। স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে মেট্রো রেল ও পূর্ব রেলের পরিষেবা। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হয়নি দক্ষিণপূর্ব(South Eastern Railway) রেলের লোকাল ট্রেন পরিষেবা। একই সঙ্গে এখনও সেখানে বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তারই জেরে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁরা কর্মস্থলে যেতে পর্যাপ্ত ট্রেন পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ তুলেই মঙ্গলবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর ডিভিশনের নলপুর(Nalpur) স্টেশনে প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ রেল অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের দাবি নলপুর স্টেশনে কোভিড(Covid) আসার আগে যে সব লোকাল ট্রেন দাঁড়াতো সেই সব ট্রেন পুনরায় সেখানে স্টপেজ দিতে হবে।
সাত সকালে এই অবরোধের(Agitation) দরুন হাওড়া ও খড়গপুরের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে গিয়েছে একের পর এক লোকাল(Local Train) ও এক্সপ্রেস ট্রেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, শালিমার পুরী ধৌলী এক্সপ্রেস, শালিমার সেকেন্দ্রাবাদ ফলুকনামা এক্সপ্রেস, শালিমার পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, তেমনি রয়েছে পুরী শালিমার জগন্নাথ এক্সপ্রেস সহ একগুচ্ছ হাওড়ামুখী ডাউন ট্রেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দক্ষীণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে গত কয়েক মাসে বার বার বলা হয়েছে নলপুর স্টেশনে সব লোকাল ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার পাশাপাশি কোভিড আসার আগে লোকাল ট্রেন পরিষেবা যেমন ছিল তেমন ভাবেই আবারও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করতে। কিন্তু সে কথা কানে তোলেনি দক্ষীণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। তাই তাঁরা বাধ্য হয়েছেন এই রেল অবরোধ করতে। যতক্ষণ না দাবি মানা হবে ততক্ষণ এই রেল অবরোধ চলবে।