নিজস্ব প্রতিনিধি: হয়ে গেল স্টেশনের (Station) বেসরকারিকরণ (Privatization) । বদলে গেল নামও। স্টেশন হয়ে গেল হল্ট। আর পরিষেবার অবনতিতে নাকাল যাত্রীরা। দেড়শো বছরের পুরানো রেল স্টেশন হারাল ঐতিহ্য। এমনকি গন্তব্যস্থলের টিকিট চাওয়া হলে, দেওয়া হচ্ছে অন্য জায়গার টিকিট। একাধিক অভিযোগ ঘিরে ধরেছে সিমলাগড় স্টেশনকে। যাত্রীরা তিতি বিরক্ত।
ব্রিটিশ ভারতে ইংরেজরা প্রায় দেড়শো বছর আগে তৈরি করেছিল এই রেল (Rail) স্টেশন। সময়টা ১৮৫৫ সাল। আর চলতি মাসের ১ তারিখে সেই স্টেশন হাতে গেল বেসরকারি সংস্থার। পয়লা এপ্রিল রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাল রেল? মানুষ অন্তত মনে করছে তাই। হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে রয়েছে এই স্টেশন। আর স্টেশন মর্যাদা খুইয়ে এখন ‘হল্ট’। যদিও ফলকে লেখা হয়নি হল্ট। যাত্রীদের অভিযোগ, নেই কোনও পরিকাঠামো। অভিযোগ, টিকিটে চেনা শিলমোহর জুটছে না। দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি কোম্পানির রবার স্ট্যাম্প। ফলে অন্য স্টেশনে অপদস্থ হতে হচ্ছে যাত্রীদের। আরও অভিযোগ, রেলের কর্মী বা স্টেশন মাস্টার সব তুলে নিয়েছে রেল। সেই জায়গায় এখন প্রশিক্ষণহীন অপটু বেসরকারি কর্মী। তাই বেড়েছে দুর্ভোগ। যাত্রীদের গুরুতর অভিযোগ, ব্যান্ডেলের পর অন্য কোনও স্টেশন বা হাওড়ার টিকিট চাইলে তা পাওয়া যাচ্ছে না। দেওয়া হচ্ছে ব্যান্ডেলের টিকিট। তারপর ওই স্টেশন থেকে গন্তব্যে যাওয়ার টিকিট কাটতে বলা হচ্ছে। ফলে, ব্রেক জার্নি ছাড়া উপায় নেই। আর এতে নাকাল হওয়া বেড়েছে আরও। বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে, এখনও সমস্ত স্টেশনের টিকিট তৈরি করতে পারেনি সংস্থা। তাই ব্যান্ডেল পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
যাত্রীদের কথায়, চেনা স্টেশনে আগে সমস্ত সুবিধা মিলত। আর এখন বেসরকারিকরণের শিকারে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বেহাল হয়েছে পরিষেবা। প্রসঙ্গত, রেল- এলআইসি সহ একাধিক সরকারি সম্পত্তি বেসরকারিকরণ ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল।