নিজস্ব প্রতিনিধি: মুকুল রায়(Mukul Roy) রাজ্য বিধানসভার(State Assembly) পিএসি বা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির(PAC) চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তার জেরেই প্রশ্ন উঠেছিল এবার এই পদে কে বসবেন? প্রশ্ন উঠেছিল শাসক দল কী তাহলে এই পদ বিরোধী বিজেপিকে ছেড়ে দিতে চলেছে? সেই দুই প্রশ্নের উত্তর মিলল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। তৃণমূল(TMC) সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি(BJP) বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী(Krishna Kalyani)। উত্তর দিনাজপুরের এই তৃণমূল নেতা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিতে গিয়ে রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হন। জিতেও যান। কিন্তু তার কয়েকমাসের মধ্যেই তিনি ফের তৃণমূলে চলে আসেন। এখন তিনি খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক হলেও বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে কার্যত কোনও যোগাযোগই রাখেন না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এবার তাঁকে রাজ্য বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান করতে চলেছে তৃণমূল। যার অর্থ ফের আরও একদফা বিজেপির মুখের খাবার ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
দেশের সংবিধানে নির্দিষ্ট করে কোথাও বলা নেই যে বিরোধী শিবিরের বিধায়ককেই লোকসভা বা বিধানসভায় পিএসি চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিতে হবে। এমনকি এটাও কোথাও বলা হয়নি যে এই পদ শাসক দল নিজেদের কাউকে দিতে পারবে না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি থেকে তৃণমূল ফেরত মুকুল রায়কে পিএসি’র চেয়ারম্যান করা হয়। কেননা মুকুল তৃণমূলে এলেও খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়কই ছিলেন। দেশে লোকসভায় বা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় পিএসি’র চেয়ারম্যান পদে বিরোধী দলের সাংসদ বা বিধায়ককেই বসানো হয়। কার্যত শাসক দল সেই পদ ছেড়ে দেয় বিরোধী পক্ষকে। বিরোধী পক্ষই ঠিক করে কে চেয়ারম্যান হবে। যদিও সেই নিয়োগ হয় লোকসভা বা বিধানসভার স্পিকারের মাধ্যমে। কিন্তু তৃণমূল প্রথম থেকেই এই পদ বিজেপিকে দিতে চায়নি। পরিবর্তে বিজেপি ছুট তৃণমূলে চলে আসা বিধায়কদেরই এই পদের জন্য তুলে ধরছে। প্রথমে মুকুল, তারপরে কৃষ্ণ কল্যাণী। মুকুল ইস্তফা দিতেই বিজেপি ভেবেছিল তাঁরা জিতে গিয়েছে। এদিন তৃণমূল কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম সামনে এনে কার্যত দেখিয়ে দিল তাঁরা বিজেপির মুখের খাবার ছিনিয়ে নিয়েছে।