নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে (Sitakunda) কন্টেনার ডিপোতে (Container Depot) শনিবার গভীর রাতের ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blast) কমপক্ষে ৩১ জন মারা গিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন দমকল কর্মীও (Fire Service) রয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে চারশো জন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত চৌদ্দ ঘন্টাতেও ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রাম হাসপাতালের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কন্টেনার ডিপো নামে একটি বেসরকারি ডিপোতে শনিবার মাঝরাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের চার কিলোমিটার কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের পরেই ডিপোতে তাকা একাধিক কন্টেনারে পর পর আগুন ধরে যায়। নিমিষেই ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। খবর পেয়েই পুলিশ ও দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু অধিকাংশ কন্টেনারে দাহ্যপদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খান দমকল কর্মীরা। পরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সহ আশেপাশের এলাকা থেকে আরও দমকল ইঞ্জিন আনানো হয়। একাংশে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করা হয়।
আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারান পাঁচ দমকল কর্মীও। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৫ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও সাড়ে চারশো জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসায় রক্ত দিতে এগিয়ে আসার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেলিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান (Brigadier General Shamim Ahasan)।