নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিমাসে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার হয় ৭১ শিশু। এমনই চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান প্রকাশ করল সেদেশের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম নামের ওই সংস্থা শুক্রবার ঢাকার প্রেসক্লাবে এই তথ্য-সহ এক প্রতিবেদন সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম নামের ওই সংস্থা আরও জানিয়েছে বাংলাদেশে চলতি বছরে বিগত আট মাসে ৫৭৪ জন্য কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা শিশুকন্যাদের মধ্যে ৩৬৪ জন একক ধর্ষণের শিকার। গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৪ জন। পাশাপাশি ৪৩ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কন্যাশিশুও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়াও ৮৭ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পরেও এ ধরণের অপরাধ ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত ২৪টি জাতীয় জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন দৈনিক পত্রিকা থেকে তাঁরা এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয় শুক্রবার। এদিন তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেমের অভিনয় ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৪৯ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বাংলাদেশে। এমনকি ধর্ষণ করার পর ২০ জনকে খুন করা হয়েছে বএল দাবি জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের। বাংলাদেশে গত ৮ মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি সংস্থার। সেদেশে ১৮১ জন কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে বলে তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংস্থাটি। শুধু ধর্ষণ নয় গত ৮ মাসে বাল্য বিবাহ সঙ্ঘটিত হয়েছে ২৩০১টি। ২৩০১ জন কন্যাশিশু বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে শুধু গত ৮ মাসে। মাসের হিসাবে যা দাঁড়ায় ২৮৮জন। তবে গত ৮ মাসে ৫৮৯ বাল্য বিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ৮ মাসে বাংলাদেশ থেকে ১৩৬ কন্যাশিশু পাচার হয়েছে৷ যাদের মধ্যে অপহরণ করা হয়েছে ৭৪ জনকে৷ যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন নাবালিকা। যৌতুক দিতে না পারায় ৫ নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।