নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক রিপোর্টেই কার্যত ব্যবসা লাটে উঠতে বসেছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠীর। তাই ব্যবসা বাঁচাতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার দামে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে সংস্থাটি। চলতি মাসেই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসার কথা আদানি গোষ্ঠীর পদস্থ কর্তাদের। উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠী বাজারদরের চেয়ে কয়লার দাম ৬০ শতাংশ বেশি নিয়েছে বলে উল্লেখ করে ওই দাম কমানোর দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। আর ওই চিঠিতে সিঁদূরে মেঘ দেখেছে গৌতম আদানির সংস্থা। তাই শেষ পর্যন্ত কয়লার দাম কমানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
বন্ধু ভারত সরকারকে খুশি রাখতে ২০১৫ সালের ১১ অগস্ট গৌতম আদানির সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর চূড়ান্ত চুক্তি হয়। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় ১,৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তুলেছে আদানি গোষ্ঠী। সেখান থেকে ১৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বগুড়া পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ আনা হবে। এর মধ্যে ৯০ কিলোমিটার সঞ্চালন হচ্ছে ভারতে। আর বাংলাদেশে বসছে ১৪৫ কিলোমিটার লাইন।
সম্প্রতি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য পিডিবিকে চিঠি দেয় আদানি পাওয়ার। ওই চিঠিতে দেখা যায়, প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। যেখানে ওই মানের কয়লার আন্তর্জাতিক বাজারদর মাত্র ২৫০ ডলারের বেশি নয়। আদানি পাওয়ারের চিঠি পাওয়ার পরে পাল্টা চিঠি দিয়ে পিডিবি জানায়, কয়লার দাম বিবেচনা করতে হবে। ওই চিঠি পাওয়ার পরেই চুক্তি নিয়ে নতুন করে জটিলতা দেখা দিতে পারে আশঙ্কা করে কয়লার দামে ছাড় দিতে রাজি হয় আদানি গোষ্ঠী।