নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি উঠল জাতীয় সংসদে। সোমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে বিতর্কে অংশ নিতে গিয়ে ওই দাবি তোলেন শাসকদল আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তথা সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। যিনি আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিসতুতো ভাই। তাঁর ওই দাবি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলা হয়েছে, হিম্মৎ থাকলে দলকে নিষিদ্ধ করে দেখাক শাসকদল।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে বিতর্কে অংশ নিতে গিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিএনপিকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে আখ্যা দেন। তাঁর কথায়, ‘বিএনপি কোনও রাজনৈতিক দল নয়। একটি জঙ্গি সংগঠন। বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশে কীভাবে অস্থিরতা বাড়ানো যায় সেই ষড়যন্ত্র করছেন। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা কষছেন।’ এর পরেই বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সহজেই গড়ে উঠতে পারবে।’
যদিও কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, ‘বিরোধী দল বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। কোনও রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিতে চায় না। তবে যারা রাজনীতির নামে অগ্নিসন্ত্রাস তৈরি করে চলেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’