নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জিনিসপত্রের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই দেশের সাধারণ মানুষের উপরে বাড়তি বোঝা চাপানোর পথে হাঁটল শেখ হাসিনা সরকার। বিভিন্ন স্তরের আপত্তি অগ্রাহ্য করে বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৫ শতাংশ বা ১৯ পয়সা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পয়লা জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে বর্ধিত দাম। সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে বিদ্যুত বিতরণকারী সংস্থাগুলির জন্য ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ডিসেম্বর থেকেই বর্ধিত দাম কার্যকর হয়। বাড়তি দামে বিদ্যুৎ কেনার কারণে ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম আদায় করার অনুমতি চেয়ে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। গত ২ জানুয়ারি ওই আবেদন নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। গণশুনানির পরে বিইআরসি’র কারিগরি কমিটি বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি এক টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে।বর্তমানে এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ২ পয়সা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বারের মতো দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ওই সময়ে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ইউনিট প্রতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।
গত কয়েক মাস ধরেই দেশে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বাজারে গিয়ে সবজি থেকে শুরু করে মাছ কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে আম আদমিকে। তার ওপরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়েই দেখা দেবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।