এই মুহূর্তে




বেনজির কাণ্ড, উর্দি পরেই জামায়াতের হয়ে ভোট চাইলেন পুলিশ কর্তা




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শেখ হাসিনা জমানার অবসানের পরেই বাংলাদেশের পুলিশ ও প্রশাসন দখল করে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত ইসলামীর সদস্যরা। স্বাধীন বাংলাদেশকে ফের পাকিস্তানে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে রাজাকারপন্থীরা। গত ৫৪ বছরে যা দেখা যায়নি, তারই সাক্ষী থাকল বদল্বের বাংলাদেশ। উর্দি পরেই জামায়াত ইসলামীর মঞ্চে হাজির হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের ভোটে জেতানোর ডাক দিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শাহ আলম। এক সময়ে জামায়াত ইসলামীর রোকন (সদস্য) শাহ আলমের ওই রাজনৈতিক বক্তব্য ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের উর্দি পরে এক আধিকারিকের জামায়াত ইসলামীর হয়ে ভোট চাওয়ার মধ্যে অন্যায়ের কিছু দেখছেন না ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ রাজনীতি করতে পারবে না, তা কোন সংবিধানে লেখা রয়েছে? সাধারণ মানুষের মতো পুলিশেরও রাজনীতি করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’

গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর আজিমপুরে সলিমউল্লাহ অনাথ আশ্রমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন  করেছিল জামায়াত ইসলামী। ওই অনুষ্ঠানে পুলিঅশের উর্দি পরেই হাজির হন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ শাখার সহকারী কমিশনার শাহ আলম। জামায়াত নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে বসার পাশাপাশি ভাষণও দেন। ওই ভাষণে শাহ আলম বলেন, ‘গত বছর ৫ অগস্ট শেখ মুজিবের কন্যাকে ক্ষমতা থেকে উ‍ৎখাত করে আমরা ৫৪ বছর আগে পাকিস্তান ভাঙার পাপ মুছে ফেলেছি। আগের ফ্যাসিস্ট সরকার পুরো দেশ বিক্রি করে দিয়েছে—এটা আপনারা সবাই জানেন, পত্রিকাতেও পড়েছেন। এখন একটা সুযোগ এসেছে দেশের জন্য কাজ করার। আপনারা এলাকায় কাজ করবেন, জামায়াতে কর্মীর সংখ্যা বাড়াবেন। বাআদেশকে ফের ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার, দেশে শরিয়াহ আইন চালু করার যে সুযোগ এসেছে তা এবার কাজে লাগাতে হবে। আপনাদের এলাকায় (ঢাকা-৭) জামায়াত্বের প্রার্থী হাজী এনায়েতউল্লাহ ইসলাম ধর্ম বাঁচানোর জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তাকে জিতিয়ে ইসলাম ধর্মকে বাঁচাতে হবে। দেশে ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা চালুর পথ সুগম করতে হবে। শুধু ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থীকেই নয়, সারা দেশে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীদের জেতানোর শপথ নিতে হবে আমাদের।’

একজন উর্দিধারী হয়ে তিনি কিভাবে জামায়াত ইসলামীর মঞ্চে উঠে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেন তা জানতে চাওয়া হলে শাহ আলম ঔদ্ধত্যপূর্ণ কণ্ঠে বলেন, ‘বেশ করেছি। আমি জামায়াত ইসলামীর একজন রোকন ছিলাম। এখনও মনেপ্রাণে জামায়াত ইসলামীর সমর্থক। নিজের দলের হয়ে প্রচার করে কোনও ভুল করিনি। শেখ হাসিনা জমানাতেও গোপনে জামায়াতের হয়ে কাজকর্ম করেছি। এর জন্য গর্বিত। জামায়াতের মঞ্চে আসার আগে পুলিশ কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী ও লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার জসিমউদ্দিনকে জানিয়েছিলাম।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘বাঁচতে চাইলে শেখ মুজিবের নাম মুখে আনবি না’, গোপালগঞ্জে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শাঁসানি সেনা-পুলিশের

গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু, সেনার গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

সেনার হুমকিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন

‘ঝাঁঝরা করে দাও’, গোপালগঞ্জে নিরস্ত্র জনতার উপরে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৫ বছর বাদে নিরস্ত্র জনতার উপরে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশে খলনায়ক সেনাপ্রধান ওয়াকার

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থমথমে গোপালগঞ্জ, রাতভর বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাণ্ডব সেনাবাহিনীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ