নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশরি ঢাকার মাটিতে পা রাখার কয়েক ঘন্টা আগেই 09রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক শাহাদাত শিকদার-সহ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা পাকিস্তানি দালাল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ওই বৈঠকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভ্যন্তরীণ ডিউটিতে থাকা বিজিবি জওয়ানদের ভারত সীমান্তে অবিলম্বে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুদ্ধে লড়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিতে বলেছেন।

বিজিবির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন সন্ধ্যায় ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের হুঙ্কার ছেড়েছেন মোল্লা ইউনূসের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের পোষ্য ভৃত্য হিসাবে পরিচিত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিজিবির মহাপরিচালককে আদেশ দেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ ডিউটি বন্ধ করে সীমান্তে জওয়ানদের মোতায়েন করার। বিজিবির কাজ তো অভ্যন্তরীণ শান্তি রক্ষা নয়, তাদের কাজ সীমান্তে। বিজিবি জওয়ান এবং আধিকারিকরা সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। বিজিবি জওয়ানরা প্রথম সারির যোদ্ধা। তারা যুদ্ধ করতে করতে এগিয়ে যাবে আর কৌশলগতভাবে ডিফেন্স দিবে। তারা পিছিয়ে আসবে না।’

ঢাকায় বিজিবি’র যে চার ব্যাটেলিয়ন রয়েছে, তাদের রাজধানী রক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি জওয়ানরা কত কৌশলী যোদ্ধা শত্রু দেশ (পড়ুন ভারত) এবার টের পাবে।শেখ হাসিনা জমানার বিজিবি আর বর্তমান বিজিবির মধ্যে মানসিকতায় আকাশ-পাতাল তফা‍ৎ।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে সেনা ও আধিকারিক মিলিয়ে ৭০ হাজার কর্মী রয়েছেন। মোট ৬৩টি ব্যাটেলিয়ন রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৫ এপ্রিল ত‍ৎকালীন বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনি পাদুয়া সীমান্ত টপকে ভারতের মেঘালয়ে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন বিএসএফ জওয়ানকে খুন করেছিল। ওই সময় বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ভারত সীমান্ত দিয়ে জাল টাকা ও মাদক পাচারে চোরাকারবারীদের পুরোপুরি মদত জোগানোর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভাঙতে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার নির্দেশে জাহাঙ্গীরই বিজিবি’র মাধ্যমে ভারতে জাল টাকা ঢোকানোর মূল পাণ্ডার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাংলাদেশে মোল্লা ইউনূসের নেতৃত্বে অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে ভারতের সীমান্তে জঙ্গি ত‍ৎপরতা বাড়াতে জাহাঙ্গিরকেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদে বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। প্রভুর সেই নির্দেশ মুখ বুজে মেনে নিয়েছিলেন নব্য রাজাকার বাহিনীর প্রধান মোল্লা ইউনূস।