নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কিংবা সন্ত্রাসীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করার জন্য কারা দফতরকে নির্দেশ দিল ঢাকা মহানগর পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকার পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে ডিআইজি কারা বিভাগকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। কীভাবে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আসামীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীদের একাংশ।
গত ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দেশের কোনও আদালতে বিচারাধীন আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কাঠগড়ায় তোলা যাবে না। ওই বছরের ২৩শে ফেব্রুয়ারি চারজন বিচারাধীন আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ওই অমানবিক ঘটনা নজরে আসার পরেই কারাবিভাগের ডিআইজির কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন বিচারপতিরা। চাপে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে কোনও আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে না বলে মুচলেকা দেন কারা বিভাগের ডিআইজি।
গত রবিবার আদালত চত্বরে পুলিশের চোখে রাসায়নিক স্প্রে করে আনসার আল ইসলামের দু্ই কুখ্যাত জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। প্রসিকিউশন বিভাগের পক্ষ থেকে সুপারিশ করে বলা হয়, বহু আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এর পরেই কারা সদর দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার জানিয়ে দেন, কারাগার থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরাতে হবে। পাশাপাশি জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠাতে হবে।