নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কম্পন এবার বাংলাদেশেও।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিলেটে কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের তীব্রতা ৪.৩ রিখটার স্কেল। কম্পনের প্রভাব পড়ে সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলেও। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল মেঘালয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বৃহস্পতিবারের কম্পনের খবর দিতে গিয়ে জানিয়েছে, কম্পনের উপকেন্দ্র ছিল সিলেটের ছাতক থেকে ১১.৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, সিলেট শহর থেকে ২৬.৭ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পূর্বে এবং মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে ২১.৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে। উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠের ৬৪.৮ কিলোমিটার গভীরে। তবে এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনও প্রান্ত থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণ হানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কম্পনের সিলেটবাসীর মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। সকালের ব্যস্ত সময়ে কম্পন অনুভূত হওয়ায় অফিসযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। সবার চোখ পড়ে মুঠোফোনে। কোনও প্রান্ত থেকে ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়েছে কি না, সেটাই ছিল তাদের দেখার বিষয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৪.৩ হলেও স্থায়ীত্ব কম হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কম্পন বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জাতিসঙ্ঘের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পায়ে হেঁটে মৃণাল কেশবপুরে