নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে ক্রমশই জ্বালানির (Fuel Crisis) সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমানো এবং ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম বাস্তবায়ন করার জন্য জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা (Prime Minister’s Energy Adviser ) তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরী (Tawfiq-e-Elahi Chowdhury)।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের অভাবে গত কয়েকদিন ধরেই দেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দিনে পাঁচ থেকে সাত ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আর ভয়াবহ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের জেরে জনজীবন যেমন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তেমনই বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে পণ্য উৎপাদনও মার খাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাধারণ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sk. Hasina)। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস ও বাড়িতে আলোকসজ্জা বন্ধ করার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আর্জি জানিয়েছেন। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের (Load Shedding) নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়ার জন্যও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন দেশের ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কট (Power Crisis) নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) জ্বালানি উপদেষ্টা (Energy Advisor) তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী (Tawfiq-e-Elahi Chowdhury) বলেন, ‘দেশে বিদ্যুতের যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলতে পারে। চেষ্টা চালানো হচ্ছে, নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা ২০০০ মেগাওয়াট কমিয়ে আনার। কোভিডের তাণ্ডবের সময়ে যেভাবে অফিস ও আদালতের সময়সূচি চালু করা হয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করা হবে। কর্মঘন্টা (Working Hour) কমানোর পাশাপাশি যাতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) অর্থাৎ বাড়িতে বসে কাজ পদ্ধতি চালু করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।’