নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল না চাইলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (Parliamentary election) ইভিএম (Electronic Voting Machine) ব্যবহার করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকল নির্বাচন কমিশন) (Election commission)। মঙ্গলবার কমিশনের (Election commission) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫০টি আসনে ইভিএমে (Electronic Voting Machine) ভোট নেওয়া হবে। বাকি ১৫০টি আসনে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার জন্য নতুন করে ইভিএম (Electronic Voting Machine) কিনতে হবে নির্বাচন কমিশন (Election commission)।
গত কয়েক বছর ধরেই ইভিএমে ভোট নেওয়ার বিরোধিতা করে চলেছে বিএনপি সহ বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার বিএনপি (BNP), জাতীয় পার্টি (JP) সহ মোট ২৪টি দলের পক্ষ থেকে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করা হয়। যদিও শাসকদল আওয়ামী লীগ (Awami League) সহ ১১টি দলের পক্ষ থেকে ইভিএমে ভোট নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় সিঁদূরে মেঘ দেখেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা। ইভিএমে ভোট নিলে বিরোধী দলগুলি নির্বাচন বয়কটের পথে হাঁটতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের। তাই মধ্যপন্থা হিসেবে জাতীয় সংসদের অর্ধেক আসনে ব্যালটে এবং অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এদিন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ (Ashok Devnath) সাংবাদিকদের জানান, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনূর্ধ্ব ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বর্তমানে ইসির হাতে যে ইভিএম রয়েছে তাতে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট করানো সম্ভব। যদি ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে হয় তাহলে নতুন করে মেশিন কেনার প্রয়োজন হতে পারে।