নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে নরপিশাচ বাবাকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। সোমবার রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ দোষী এ রায় দিয়েছেন। যদিও রায়ে খুশি নয় নির্যাতিতা কিশোরীর আইনজীবী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম নরপিশাচ বাবার ফাঁসির আদেশ হবে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ৪ অগস্ট বাড়িতেই একা পেয়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে বাবা আব্দুল মালেক। শুধু তাই নয়, ন্যক্কারজনক ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্যও কিশোরী মেয়েকে ভয় দেখায় নরপিশাচ বাবা। তার পরে আরও একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আব্দুল মালেক। এক সময় বাবার কুকীর্তির কথা মাকে জানিয়ে দেয় নির্যাতিতা কিশোরী।
স্বামীর এমন অপকর্মের কথা জানতে পেরে আর সময় নষ্ট করেননি আব্দুল মালেকের স্ত্রী। ১৪ অগস্ট স্বামীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার এসআই দেবাশিস কুমার রায়। তিন বছর বিচারকাজ চলার পর আজ সোমবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। দোষী সাব্যস্ত নরপিশাচ বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ছাড়াও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।
রায়ের পরে নির্যাতিতার আইনজীবী কাজী মাহফুজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরে নির্যাতিতা কিশোরীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় এবং মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দাদুই বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শেষ পর্যন্ত সংসারের বোঝা টানতে গিয়ে পোশাক কারখানায় কাজ নেয় কিশোরী। আমরা ফাঁসির আদেশ আশা করেছিলাম।’