নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিদেশে পড়াশোনা করে দেশে ফিরে দীর্ঘদিন ধরেই মাদক (Drug) নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। কোন মাদক কত মাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে, কতটা সেবন করতে হবে, তা আবিস্কার করার পাশাপাশি দেশজুড়ে কুশ, হেম্প, মলি, ফেন্টানলের মতো মাদকের চাষ ও বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রণ গ্রো-টেন্টও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সোমবার রাতে গোপন অভিযানে দেশের প্রথম মাদক বিজ্ঞানী ওনাইসী সাঈদ (Onaishi Sayyed) ওরফে রেয়ার সাঈদকে গ্রেফতার করলেন র্যাবের (RAB) গোয়েন্দারা। হানা দিয়ে সাইদের গুলশানের বাড়ি থেকে ১০১ গ্রাম কুশ, ৬ গ্রাম হেম্প, ০.০৫ গ্রাম মলি, ১ গ্রাম ফেন্টানল, ১৮ গ্রাম কোকেন, ১২৩ পিচ এক্সট্যাসি, ২৮ পিচ এডারল ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নগদে উদ্ধার করা হয় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও কয়েক হাজার মার্কিন ডলার।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন (khondakar Aal Moin) জানান, অভিজাত পরিবারের সন্তান সাইদ রাজধানীর একটি স্বনামধন্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) পড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখান থেকে বিবিএ করে মালয়েশিয়া থেকে মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) করেন। বিদেশে পড়া অবস্থায় বিভিন্ন মাদকের সঙ্গে পরিচিত হন। দেশে মাদকের ব্যবসা বাড়াতে ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে নানা ধরনের মাদক নিয়ে আসতেন। বিভিন্ন অভিজাত পার্টিতে ওই সব মাদক সরবরাহ করতেন।
র্যাবের মুখপাত্রের কথায়, ‘দেশে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে নিজের বাড়িতেই মাদক উৎপাদনের প্ল্যান্ট তৈরি করেন সাইদ। মাদক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। মূলত আফিমের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী ফেন্টানল ও মারিজুয়ানার চেয়ে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি শক্তিশালী কুশ-ই ছিল মূল ব্যবসা। বিভিন্ন অভিজাত পার্টিতে কারা অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের সামাজিক পরিচয় কী, তা জেনেই মাদক সরবরাহ করতেন সাইদ।’