নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ফের ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (Border security Force) অমানবিকতার নির্দশন। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সাজার অতিরিক্ত মেয়াদ জেল খাটার পরে মুক্তি পেয়েও বাড়ি ফিরতে পারলেন না পাঁচ ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের মধ্যে চার জন অসমের (Assam) এবং একজন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাসিন্দা। মঙ্গলবার ওই পাঁচ জনকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরানোর জন্য লালমনিরহাট কুড়িমারী চেকপোস্টে (Kumari Check post) পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিএসএফ (BSF) জওয়ানরা ঢুকতে দিতে অস্বীকার করায় ফের ফিরিয়ে এনে জেলে পাঠানো হয়।
সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢোকার দায়ে কুড়িগ্রামের (Kurigram) কারাগারে দীর্ঘদিন ধরেই বন্দি ছিলেন পাঁচ ভারতীয় নাগরিক। ওই পাঁচজন হলেন, সেলিম মিয়া, আখের জামান, শাহ আলম, নূরুজ্জামান ও আলম মিয়া। এদের মধ্যে শেষের জন অর্থাৎ আলম মিয়া পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তিন মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত জেল খাটার সাজা পেয়েছিলেন পাঁচ জনেই। অনেক আগেই সেই সাজা খাটার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার ইসমাঈল হোসেন (Jailor Ismail Hossain) সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ নির্দেশে ওই পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে মঙ্গলবার তাঁদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বুড়িমারী চেকপোস্টে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের কাছে কোনও নির্দেশ নেই জানিয়ে পাঁচ নাগরিককে ফেরত নিতে অস্বীকার করেন বিএসএফ জওয়ানরা। ফলে ফের তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফোরামের (Border Victim rescue legal assistance forum) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আহবায়ক এস এম আব্রাহাম লিঙ্কন (S M Abraham Linkon)। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত (India) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন জেলে দুই দেশের নাগরিকরা রয়েছেন। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তারা দেশে ফিরতে পারছে না। যে পাঁচ ভারতীয়কে ঢুকতে দিতে রাজি হয়নি বিএসএফ, তাঁরা প্রত্যেকেই সাজার বাইরেও ছয় মাস থেকে এক বছর বিনাবিচারে জেল খেটেছেন। এটা মানবাধিকারের (Human rights) চূড়ান্ত লঙ্ঘন।