এই মুহূর্তে




বঙ্গভঙ্গের গান ‘আমার সোনার বাংলা’ যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠল




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার মদতপুষ্ঠ মুহাম্মদ ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীরা। গত মঙ্গলবারই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীত বদলের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনাবাহিনীর দোসর হয়ে কাজ করা তথা কয়েক লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ-খুনের মতো নারকীয় ঘটনার খলনায়ক গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল নিজামী আযম। তার ওই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তমনা সাধারণ মানুষ। গতকাল শুক্রবারই (৫ সেপ্টেম্বর) গোটা দেশে একই সময়ে লাখো কণ্ঠে গাওয়া হয়েছে জাতীয় সঙ্গীত। চাপে পড়ে শনিবারই (৬ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত’ বদলের কোনও চিন্তাভাবনা নেই।

ব্রিটিশ জমানায় বঙ্গভঙ্গের সময়েই ‘আমার সোনার বাংলা’ লিখেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কীভাবে সেই গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠল তা জানতে হলে পিছন ফিরে তাকাতে হবে। সত্যেন রায়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯০৫ সালের ৭ অগস্ট কলকাতা টাউন হলে একটি প্রতিবাদসভায় প্রথম গাওয়া হয় ‘আমার সোনার বাংলা’। ওই বছর ৭ সেপ্টেম্বর (২২ ভাদ্র, ১৩১২ বঙ্গাব্দ) ‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকায় গানটি ছাপা হয়। ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রখ্যাত পরিচালক জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেওয়া’ ছবিতে এই গান ব্যবহৃত হয়। কিংবদন্তি পরিচালক জহির রায়হান নির্মিত এই সিনেমায় তৎকালীন বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনকে রূপকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক জনসভায় গানটি গাওয়া হয়।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই সমাবেশে  গানটি গাওয়া হয়েছিল। ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা প্যারেডেও গানটি পরিবেশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এই গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত পরিবেশিত হত। বর্তমানে যে সুরে গানটি গাওয়া হয় সেই যন্ত্রসুর করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার অজিত রায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন হলে এর ৪.১ অনুচ্ছেদে ‘আমার সোনার বাংলা’র প্রথম ১০ চরণ (মোট চরণ ২৫ চরণ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গানের প্রথম ১০ ছত্র কণ্ঠসঙ্গীত এবং প্রথম ৪ ছত্র যন্ত্রসঙ্গীত ও সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করা হয়।

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, লিটনদের হেড স্যারের দায়িত্বে ক্যারিবীয় ক্রিকেটার

বাংলাদেশের ফরিদপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ৫

দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে চিনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের

দশমীতে ইছামতীর তীরে জমজমাট এক দিনের বউ মেলা, তবে নিষিদ্ধ পুরুষ ক্রেতা

Bangladesh : বাসে গ্যাস ভরার সময়ে বিস্ফোরণ, আগুনে ঝলসে মৃত্যু ৪ জনের

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ ইউনূস সরকার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর