নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের পরে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে শেখ হাসিনাকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। যদিও সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল। ফের একবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে উৎখাতে কোমর কষে আসরে নেমেছে জো বাইডেন প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে শেখ হাসিনাকে কীভাবে উখাত করা যায় তা নিয়ে বিএনপি সহ ভারত বিরোধী দল এবং কট্টর ইসলামি সংগঠনগুলির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করে চলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের গোয়েন্দারা এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এক রিপোর্টও দিয়েছেন।
ওই রিপোর্টের পরেই রবিবার মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে পাকিস্তানি সেনাদের খুন ও ধর্ষণে ইন্ধন জোগানো আমেরিকার চোখ রাঙানি যে তিনি মেনে নেবেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এতটুকু কেউ কিছু করলে আমরা সেটা স্বীকার করি। আবার কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে আমরা তার প্রতিবাদও করতে জানি।’ একাত্তরে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তা উল্লেখ করে এদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত, রাশিয়া, যুগোশ্লোভিয়া সহ একাধিক দেশ আমাদের সাহায্য করেছিল, পাশে দাঁড়িয়েছিল।আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমেরিকা তখন পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষের খুন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেনি।’
অন্যদিকে, শিষ্টাচার ভেঙে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে দেশ থেকে বহিষ্কারের দাবি ক্রমশই জোরালো হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই বিশিষ্ট নাগরিকরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। শাসকদল আওয়ামী লীগের একাধিক প্রবীণ নেতাও দলনেত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন।