নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রত্যাশামতোই সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানল সিত্রাং। প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলের মাঝামাঝি ভোলার কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ৬২-৮৮ কিলোমিটার। সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাস। রাতেই সিত্রাংয়ের চোখ বা কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালীর রাঙাবালি বা চর মন্তাজ এলাকায় উপকূল স্পর্শ করবে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ৫০ নট বা ঘন্টায় ৯৩ কিলোমিটারের মত। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নড়াইলে গাছের ডাল চাপা পড়ে ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সিত্রাং মোকাবিলায় বিমানবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হেনেছে। উপকূল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আজ গভীর রাতে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে। ভোর রাতের দিকে সিত্রাংয়ের প্রভাব ক্রমশ কমে যাবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলে এবং অন্যান্য অঞ্চলেও মঙ্গলবার দেশজুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে একাধিক জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালগুলিতে জরুরি রোগীদের অস্ত্রোপচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবের উপরে নজরদারির জন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই পরিস্থিতির উপরে বিশেষ নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।