নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কথায় বলে, ‘ঠ্যালার নাম বাবাজি’। প্রচারের আলোয় থাকতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore) নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন ‘সারেগামাপা’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Nobel)। আর ওই পোস্টের জন্যই গত ১৪ অগস্ট আইনজীবীর নোটিশ (Legal Notice) পেয়েছিলেন তিনি। সাতদিনের মধ্যে বিতর্কিত পোস্ট মুছে ক্ষমা না চাইলে মামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আইনজীবী মিঠুন বিশ্বাস (Mithun Biswas)। ওই আইনি নোটিশ পাওয়ার পরেই ফেসবুক থেকে কবিগুরুকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট মুছে ফেলেছেন বিতর্কিত গায়ক। যদিও অশালীন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাননি তিনি।
ভারতীয় এক বিনোদন চ্যানেলে রিয়েলটি শোতে অংশগ্রহণ করে পরিচিতি লাভের পরেই ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছেন মাইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Nobel)। মণীষী থেকে শুরু করে শিল্পীদের সম্পর্কে বিতর্কিত কথাবার্তা বলে প্রচারের আলোয় থাকার চেষ্টা করেছেন। গত মাসের শেষের দিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করে নতুন করে বিতর্কে জড়ান। গত ২৯ জুলাই ফেসবুকে করা ওই পোস্টে নোবেল (Mainul Ahsan Nobel) লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! যে রবীন্দ্রনাথ এ দেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে যেহেতু রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম, নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে তার গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক।’
কবিগুরুকে নিয়ে ওই পোস্টের পরেই চট্টগ্রামের আইনজীবী মিঠুন বিশ্বাস নোবেলকে (Mainul Ahsan Nobel) আইনি নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে বিদ্বেষমূলক পোস্টগুলো ফেসবুক থেকে মুছে ফেলে নিজের ভুল স্বীকার করে নোবেলকে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে। ওই নোটিশ পাওয়ার পরেই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্টটি মুছে ফেলেছেন গায়ক। তবে ক্ষমা চেয়ে নতুন কোনও পোস্ট করেননি।