নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই সিলেটের বন্যা (Sylhet Flood) পরিস্থিতির আবনতি ঘটছে। শুক্রবারই রানওয়েতে (Runway) জল ঢুকে যাওয়ায় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর শনিবার ট্রেন (Train) ও বাস (Bus) পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ কার্যত ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জলবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দুপুর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity)। তার ফলে অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে কয়েক লক্ষ মানুষকে।
ভারতের অসম ও মেঘালয়ে হওয়া অতি ভারী বৃষ্টির জল পাহাড়ি ঢাল বেয়ে গড়িয়ে এসে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিলেট (Sylhet), সুনামগঞ্জ (Sunamganj), হবিগঞ্জ (Hobiganj) সহ উত্তরাঞ্চলের একাধিক জেলাকে। তার ওপরে লাগাতার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার থেকে জলবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। রেললাইন থেকে জাতীয় সড়ক জলের তলায়। সিলেট, সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ জনপদেও কোমর সমান জল। এলাকার একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে।
বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকার্যে ইতিমধ্যে নেমেছে সেনাবাহিনী (Army), বিমান বাহিনী (Air Force) ও নৌ বাহিনী (Navy)। বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার ও কোস্ট গার্ডের দুটি ক্রুজ। এরই মধ্যে নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্যের একটি দল সিলেটে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। নৌবাহিনীর ৩৫ জনের একটি ডুবুরিদলও বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকার্য চালাতে দমকল আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে লাগাতার বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে চার জন প্রাণ হারিয়েছেন। নেত্রকোনাতেও বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। বাকি জায়গা থেকেও প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে।