নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অভিমান নিয়ে ভোট রাজনীতি থেকে সরে গেলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। বুধবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। এরশাদ-পত্নীর ঘোষণায় খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে তাঁর দল জাতীয় পার্টির নেতারা। রওশানের বিকল্প প্রার্থী খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে।
এরশাদের মৃত্যুর পরেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির কর্তৃত্ব নিয়ে রওশান এরশাদের সঙ্গে তাঁর দেওর গোলাম মহম্মদ (জিএম)কাদেরের লড়াই শুরু হয়। বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের পথে হাঁটে দু’পক্ষই। রওশন এরশাদ বরাবরই আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। উল্টোদিকে জিএম কাদের কট্টর শেখ হাসিনা বিরোধী হিসাবে পরিচিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গত মঙ্গলবার ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৯ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল জাতীয় পার্টি। যদিও সেই তালিকায় নাম ছিল না এরশাদ-পত্নী রওশন এরশাদ এবং ছেলে সাদ এরশাদের। রওশনের ময়মনসিংহ-৪ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। আর এরশাদ পুত্রের আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
স্বামীর প্রতিষ্ঠিত দলে তাঁকে কোনঠাসা করার চেষ্টা ভালো চোখে দেখেননি এরশাদ-পত্নী। আদৌ সংসদ নির্বাচনে লড়বেন কিনা, তা নিয়ে বুধবার রাতে গুলশানের বাড়িতে নিজের অনুগামীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রওশন। ওই বৈঠকের পরে ভোটে না লড়ার কথা জানিয়ে দেন এরশাদ জায়া। তিনি বলেন, ‘আমি দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও ভোট নির্ঘন্ট ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু দলের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’