নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রেমের টানে ফের ঘর-পরিবার ছেড়ে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে চলে এলেন ভারতের অসমের ডিব্রুগড়ের এক তরুণী। পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য মেয়ের এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে না পেরে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করাও হয়েছিল। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার আদালত ওই তরুণীকে নিজের স্বামীর কাছে থাকার অনুমতি দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে মামা বাড়িতে ঘুরতে এসে স্থানীয় যুবক হৃদয় মজুমদারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অসমের ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা অঙ্কিতা মজুমদারের। তার পরে দেশে ফিরে গেলেও নতুন বন্ধুর সঙ্গে ফেসবুকে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিল। দুজনের মধ্যে শুরু হয়েছিল মন দেওয়া-নেওয়া। বিষয়টি পরিবারকে জানানোর পরেও প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধার বিষয়ে বাবা-মাকে রাজি করাতে পারেনি অঙ্কিতা। শেষ পর্যন্ত মনের মানুষের টানে গত ৫ মে ফের দাদু বাড়িতে আসে সে। তার পর গত ৭ মে কাউকে কিছু না বলে উধাও হয়ে যায়। ১২ মে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে চুপিসাড়ে বিয়েও সেরে ফেলে।
ভাগ্নীকে না পেয়ে ফেনী মডেল থানায় জিডি করেন অঙ্কিতার মামা পিকলু সাহা। শেষ পর্যন্ত অঞ্কিতা ও হৃদয়ের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ২৩ মে ঢাকার উত্তরা থেকে দুজনকে আটক করা হয়। আদালতে হাজির করা হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অঙ্কিতা ও হৃদয়কে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। এমনকী অঙ্কিতা স্বেচ্ছায় যেখানে খুশি থাকতে পারবে বলেও জানিয়ে দেন বিচারক। আদালতে দাঁড়িয়ে অঙ্কিতা জানান, গত ১২ মে ধর্মীয় রীতি মেনে হৃদয়কে বিয়ে করেছে। স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চায়।
তবে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে রাজি হননি অঙ্কিতার মা রুমা মজুমদার। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হৃদয়ের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের বিষয়ে জানতাম না। আমি মেয়েকে ফেরত নিয়ে যেতে চাই। ওর পড়াশোনা শেষ হয়নি, পড়াশোনা শেষ হলে ছেলের হাতে তুলে দেব।’ কিন্তু মায়ের প্রস্তাবে রাজি নয় অঙ্কিতা। বাংলাদেশ ছেড়ে কোথাও যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।