নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ‘ভোট লুঠের মহারানি’। রবিবার সন্ধেবেলায় গোটা বাংলাদেশজুড়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আখ্যায়িত করা হচ্ছে এমন সম্ভাষণে। দেদার ছাপ্পা ভোটের দৌলতে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। কিন্তু আম জনতা বর্জিত প্রহসনের ভোটে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের ভোটের ফলাফল একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাতারাতিই বাংলাদেশের ‘কেশপুর’ হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসন।
বিরোধীদের বয়কটের কারণে গোটা বিশ্বেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ‘প্রহসনের ভোট’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। বিএনপির ভোট বয়কটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ নিজেদের ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন। আর সেই সুযোগে সকাল থেকেই বুথ লুঠ করে দেদার ছাপ্পা দিয়ে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের পোষ্য গুন্ডারা। কার্যত অধিকাংশ কেন্দ্রে যে শাসকদল বাদে বাকিদের এজেন্ট নেই, তা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গোটা দেশে যখন গড়ে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮৬ শতাংশের বেশি।
শুধু তাই নয়, নৌকা প্রতীকে এমন দেদার ছাপ্পা মেরেছেন আওয়ামী লীগের ভোট লুঠ বাহিনী যে তা শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও চরম লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। কেননা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে পেয়েছেন ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট, সেখানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপির শেখ আবুল কালাম পেয়েছেন মাত্র ৪৬০ ভোট। আর এক প্রতিপক্ষ প্রার্থী পেয়েছেন ৪২৫ ভোট। শেখ হাসিনার বিপুল ভোটে জয় নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের অন্দরেও। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রুহুল রিজভী মনে করছেন, ‘শেখ হাসিনার কেন্দ্রের ফলাফলই গোটা বিশ্বের কাছে রবিবারের সংসদ নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।’