নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী: জুতোর প্রতি নিখাদ প্রেমের মূল্য চোকাতে হল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যার এক শিকক্ষকের। পছন্দের জুতো কিনতে গিয়ে সঙ্গে থাকা ২৩ লক্ষের বেশি টাকা খুঁইয়েছেন তিনি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। টাকা গায়েবের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ধৃত যুবক। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিপুল টাকা উদ্ধার হয়নি। জুতো কেনার জন্য যে এমন গুণাগার গুণতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেন প্রতারণার শিকার শিক্ষক। টাকা খোয়া যাওয়ার শোকে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মজিবুর রহমান লক্ষ্মীপুরের প্রধান পোস্ট অফিস থেকে স্ত্রী জেসমিন রহমানের নামে রাখা ফিক্সড ডিপোজিটের ২৩ লাখ ১১ হাজার ১৩ টাকা তোলেন। ব্যাঙ্ক থেকে তোলা টাকা একটি কালো রংয়ের স্কুলব্যাগে রেখে বাড়ি যাওয়ার পথে জুতোর দোকানে ঢুঁ মারেন। দোকানের একটি বেঞ্চে ব্যাগটি রেখে জুতো দেখছিলেন তিনি। আচমকাই এক অজ্ঞাতপরিচয়ধারী যুবক ব্যাগটি ছোঁ মেরে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। দোকানে থাকা সেলসম্যান তাড়া করলেও ছিনতাইকারীর নাগাল পাননি। একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ টাকা হারিয়ে কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন মজুবুর রহমান। পরে বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে ব্যাঙ্ক ও রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ডিঙ্গাডোবা ব্যাঙ্ক কলোনির বাসিন্দা আল আমিন হৃদয় নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে মাঙ্কি ক্যাপ ও মাস্ক পরা এক যুবক ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার সময়েই মজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে অনুসরণ করছিল। যদিও ধৃত যুবক দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। টাকা উদ্ধারের জন্য ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।