নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরায় ইলিশ রফতানি (Hilsa Export) বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে আগেই আইনি নোটিশ (Legal Notice) পাঠানো হয়েছিল। আর মঙ্গলবার হাইকোর্টে (High Court) দায়ের হল মামলা। কেন দেশীয় বাজারের তুলনায় ভারতে কম দামে ইলিশ রফতানি হচ্ছে তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে নোটিশ জারির পাশাপাশি স্থায়ীভাবে রফতানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) আইনজীবী মাহমুদুল হাসান (Mahamudul Hasan)। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানি হতে পারে। এদিন হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার ফলে পুজোর আগে ইলিশ রফতানি বন্ধ হতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা।
পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বাঙালিদের পাতে দুর্গাপুজোর সময়ে যাতে ইলিশ পড়ে তার জন্য ৪৯টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪৫০ টন রূপালি শস্য রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই পরিমাণ ইলিশ রফতানি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলি। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে ওপার বাংলার বাঙালি ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটলেও আইনগত জটিলতা দেখা দেয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর ইলিশ রফতানি বন্ধে সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ, বাণিজ্য সহ চারটি মন্ত্রকের সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান।
কিন্তু ওই আইনি নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাণিজ্য ও মৎস্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে এদিন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। আর্জিতে বলা হয়, দেশের বাজারের চেয়ে কম দামে ভারতে ইলিশ রফতানির মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ধ্বংস করেছেন এবং জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন। এছাড়া রফতানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানি যোগ্য পণ্য নয়। দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ, অথচ বর্তমানে ইলিশের অত্যধিক দামের কারণে গরিব মানুষ এই মাছ কিনতেও পারছেন না।’