নিজস্ব প্রতিনিধি, বেনাপোল: দেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে সোনা পাচারের জন্য অভিনব পথে হেঁটেছিলেন ফাহাদ উজ জামান। প্রায় ৩৫০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি গিলে পেটের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। দুঁধে শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত পায়ুপথ দিয়েই বের করা হল ওই সোনা। বাজেয়াপ্ত সোনার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সোনা পাচারের দায়ে আপাতত শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে বাবাজীবনের। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরে।
কীভাবে পাকড়াও হলেন ফাহাদ উজ জামান? বেনাপোল স্থলবন্দরে দায়িত্বরত জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন জানান, গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, ভারতে সোনা পাচার করতে চলেছে দুই বৈধ ভিসাধারী। ওই খবরের ভিত্তিতেই এদিন সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে যৌথভাবে বৈধ ভিসাধারীদের বিশেষ তল্লাশি নেওয়া হয়। তল্লাশির সময়ে সন্দেহ হওয়ায় শরীয়তপুরের পালং থানার সোলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফাহাদ উজ জামান খান (২১) ও নান্টু খানকে (২৩)। আটক করা হয়। যদিও দুজনের কেউই স্বীকার করেননি তারা লুকিয়ে সোনা নিয়ে যাচ্ছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি আদায় করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত দুই পাসপোর্টধারীর পেটের এক্স-রে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুজনকে স্থানীয় একটি ডায়গোনেস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স রে রিপোর্টে দেখা যায়, ফাহাদ উজ জামানের পেটের ভিতরে কালো টেপে মোড়ানো তিনটি বস্তু রয়েছে। পরে বিশেষ কায়দায় (পায়ুপথ দিয়ে) ওই যাত্রীর তলপেট থেকে কালো টেপে মোড়ানো তিন পিস সোনার বার বের করা হয়। সোনা পাচারের অভিযোগে দুজনকেই বেদনাপোল স্থল বন্দর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।