নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: সাধক বামাক্ষ্যাপার প্রধান শিষ্য তারাখ্যাপার হাতে প্রতিষ্ঠিত পুজো আজও হয়ে আসছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ব্লকের খাঁপুর এলাকায়। মা এখানে জয়কালী নামে পরিচিত। শুরু থেকেই বীরাচারী মতে পুজো হয়ে আসছে। আর তাই মাছ, মাংস, ডিম সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। তবে এই পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, দিনের বেলার হয় পুজোর আয়োজন।
জেলার সদর শহর বালুরঘাট থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খাঁপুর এলাকাটি। অতীতে এই অঞ্চলের জোরদার চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের আমালেই জয়কালী মায়ের পঞ্চমুন্ডির আসন প্রতিষ্ঠা হয়। প্রথমে মা এখানে খোলা আকাশে নীচে থাকতেন। কালের নিয়মে তৈরি হয়েছে পাকা মন্দির। যদিও উপরের ছাউনি টিনেরই রয়েছে। অতীতে এই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে দুর্গাপুজোও করা হত। বর্তমানে সেই পুজো অবশ্য হয় না। কিন্তু ভক্তিভরে কালীপুজোর চল এখনও রয়েছে।
চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরাই তাদের গৃহদেবী কালীকে পঞ্চমুন্ডির আসনে পুজো করেন। ঘোর বীরাচারী মতে মাকে এখানে পুজা করা হয় বলে এখানে বলি প্রথা বর্তমান। অতীতে এখানে কালীপুজোর রাতে পুজো করা হলেও এখন কালীপুজোর আয়োজন করা হয় দিনের বেলাতেই। কিন্তু কেন এই নিয়ম বদল, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। সারা বছর ধরে এখানে মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। পরিবারের এক সদস্য সমীর চট্টোপাধ্যায় জানান, সেই সমস্ত নিয়মই মেনে আসা হচ্ছে বংশ-পরম্পরায়।