এই মুহূর্তে

বিভিন্ন কালীক্ষেত্রে আজ কালীপুজোয় বিশেষ ভোগ, দেখে নিন এক ঝলকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মাতৃশক্তি আরাধনার বিশেষ দিন, আজ দীপন্বিতা অমাবস্যা। এদিন কালীপুজোয় মাতেন গোটা ভারতবাসী। এই বাংলায় বিখ্যাত কয়েকটি শক্তিপীঠে সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন। আর কালীপুজো মানেই বিশেষ আকর্যণ মায়ের ভোগ। কারণ বিভিন্ন মন্দিরে রীতি আলাদা। কোথাও মাছে পদ তো কোথাও পাঁঠার মাংস। কোথাও পাঁচ রকমের ভাজা তো কোথাও বিশেষ মিস্টি। আসুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক বাংলার কয়েকটি বিখ্যাত কালীক্ষেত্রের বিশেষ ভোগ সম্পর্কে।

তারাপীঠ-

কালীপুজোর দিন মা তারাকে দেওয়া হয় রাজকীয় ভোগ। সকাল, দুপুর ও রাত্রে থাকে বিশেষ আয়োজন। মায়ের প্রথম পুজোর সঙ্গে দেওয়া হয় শীতলা ভোগ। দুপুরে পুজোর পর দেওয়া হয় মায়ের অন্নভোগ। সেখানে মাকে দেওয়া হয় পোলাও, খিচুড়ি এবং সাদা অন্ন, সঙ্গে থাকে পাঁচ রকম ভাজা, তিন রকম তরকারি। পাশাপাশি থাকে চারাপোনা, কাতলা, রুই-সহ বিভিন্ন মাছের ভোগ। এছাড়া তান্ত্রিক মতে নিবেদিত বলির পাঁঠার মাংস কারণবারি (মদ) সহযোগে নিবেদিত হয়। আর থাকে পায়েস, চাটনি, দই, আর পাঁচ রকম মিষ্টি। বলে রাখি মা তারাকে এদিন শ্যামা রূপে পুজো করা হয় তারাপীঠে। রাতে মাকে দেওয়া হয় খিচুড়ি ভোগ। চাল-ডাল মিলিয়ে প্রায় দেড় কুইন্টাল খিচুড়ি তৈরি হয় ১০টি বড় হাঁড়িতে। এছাড়া থাকে পাঁচ রকম সবজির ভাজা, তরকারি, শোল মাছ পোড়া, ও বলি-দেওয়া পাঁঠার মাংস। সঙ্গে পাত্রে থাকে কারণবারি।

দক্ষিণেশ্বর-

দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণী। শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতি বিজরিত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে সারারাত ধরে চলে পুজো। দুপুরে মায়ের ভোগে দেওয়া হয় ভাত ও ঘি-ভাত। সঙ্গে পাঁচ রকমের তরকারি, ভাজা ও পাঁচ রকমের মাছ। পোনা, পার্শে, কই, চিংড়ি, রুই, কাতলা দেওয়া হয় প্রধানত, তবে অন্য মাছও থাকতে পারে। পাশাপাশি পরিচিত সবজি দিয়ে ভাজা ও তরকারি হয় দক্ষিণেশ্বরে। এখানে মায়ের ভোগের সেভাবে কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। দক্ষিণেশ্বরের পুজোয় মদের কোনও স্থান নেই। নারকেল ফাটিয়ে, সেই নারকেলের জল দেওয়া হয় মাকে। এই মন্দিরে কোনোও কালেই যেহেতু বলির চল নেই, তাই মাকে মাংস দেওয়া হয় না। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই মা কালী পুজিত হন দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে।

কালীঘাট-

কালীতীর্থ কালীঘাটে কালীপুজোর দিন হয় লক্ষ্মীপুজো। তবে অমাবস্যা তিথি শুরু হওয়ার আগে মা কালীকে একপ্রস্থ ভোগ দেওয়া হয়। তাতে থাকে শুক্তো, পাঁচ রকমের ভাজা। মূলত আলু, বেগুন, পটল, উচ্ছে অথবা করলা, ও কাঁচকলা ভাজা দেওয়া হয়। এছাড়া থাকে পোলাও, তিন রকম মাছের পদ, প্রথম বলির কচি পাঠার মাংস, চাটনি ও পায়েস, পান ও জল। আর রাতে লক্ষ্মীরূপী মায়ের ভোগে নিবেদন করা হয় নিরামিষ পদ। সেই শীতল ভোগের আয়োজনে থাকে ময়দার লুচি, খিচুড়ি-তরকারি, দু-তিন রকমের ভাজা, রাবড়ি-রসগোল্লা-দই-মিষ্টি-পান-জল।

কঙ্কালীতলী

বোলপুরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির। সতীপীঠের অন্যতম এই স্থানে মায়ের কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের হাড় পড়েছিল বলে কথিত রয়েছে। আবার ৫১টি সতীপীঠের শেষ পীঠ হল কঙ্কালীতলা। এখানে মহাকালী রূপে পূজিতা হন মা। দুপুরে অন্নভোগে মাকে দেওয়া হয় ৫ রকমের ভাজা, ডাল, ফ্রায়েড রাইস, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি ও পায়েস। দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও কঙ্কালীতলায় ভক্তদের ভিড়। করোনা আবহে রয়েছে কড়াকড়ি। রাতে শ্যামা মায়ের বিশেষ পুজো হবে। এখানে একটি কুণ্ড রয়েছে। মায়ের স্নানজল হিসেবে ব্যবহার হয় এই কুণ্ডের জল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গন ভাইফোঁটার পরিকল্পনা নিয়েছে বসিরহাটের ‘নবোদয় সংঘ’

বনগাঁ থানার এবারের কালীপুজোর থিম ‘ কৈলাস পর্বতে মহাদেব’

বাঁকুড়ার সাঁতরা বাড়ির “বড় বৌমা” পূজিত হলেন মা কালীর রূপে

নৈহাটির বড়মার পুজোয় ভক্তদের ভিড়

তারাপীঠে সারারাত খোলা থাকছে গর্ভ গৃহের দরজা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন উপবাস, নিজের হাতে রান্না করলেন ভোগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর