নিজস্ব প্রতিনিধি: সাড়ে তিনশো বছরেরও প্রাচীন এই পুজো (DURGA PUJA)। বাঁকুড়া জেলার বনেদি বাড়িগুলির পুজো বললেই উঠে আসে কোতুলপুরের ভদ্রবাড়ির কথা। তাঁদের পূর্বপুরুষ না কি চাঁদ সদাগর। এই পুজোতে উপস্থিত হয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব।
পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, তাঁরা চাঁদ সদাগরের বংশধর। তাঁদের পূর্বপুরুষদের ব্যবসা ছিল তামাক, সরষে এবং নুনের আমদানি ও রফতানি। সওদাগরি যখন রমমরিয়ে চলছে তখন বর্ধমানের মহারাজ উদয়চাঁদ মহতবের কাছ থেকে ১৭টি তালুকের জমিদারি সত্ত্ব কিনে নিয়েছিলেন ভদ্রপরিবারের পূর্বপুরুষ। সে আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগের কথা।
জমিদারি কেনার পরেই বাড়ির উঠোনে তৈরি করা হয় দুর্গা মণ্ডপ। প্রচলন হয় দেবী দুর্গার আরাধনার। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ১৮৮০ সালের ১০ অক্টোবর, সপ্তমীর সকালে কামারপুকুর থেকে বিষ্ণুপুর যাচ্ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তারই মাঝে তিনি ঢুকে পড়েছিলেন এই বাড়ির পুজো দেখতে।
সেই ভদ্র পরিবার এখন দু’ভাগে বিভক্ত। অবশ্য দুই পরিবারই হয় দেবী দুর্গার আরাধনা। তবু ইতিহাস বুকে চেপে ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখেছে ভদ্র পরিবার।