-273ºc,
Tuesday, 30th May, 2023 2:06 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: রানি রাসমণি (RANI RASHMONI) বললেই মনে আসে দেবী কালী’র আরাধনার কথা। তবে এই বাড়িতে হয় দুর্গাপুজোও (DURGA PUJA)। আর সেই পুজোতে একাধিকবার উপস্থিত থেকেছেন রামকৃষ্ণ পরমংস দেব। এই পুজো রানি রাসমণি’র পুজো নামে পরিচিত হলেও তা প্রচলন করেছিলেন তাঁর শ্বশুরমশাই প্রীতরাম মাড়। এই পুজোতেই রমণী বেশ নিয়েছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ। আর তাঁকে চিনতেও পারেননি কেউ।
জমিদার প্রীতরাম ছিলেন ব্যবসায়ীও। তাঁর পদবী মাড় হলেও পরবর্তীকালে পদবী ব্যবহার করতেন ‘দাস’। ১৭৯৩ সালে তিনিই প্রচলন করেছিলেন এই পুজোর। জানবাজারের এই পুজোয় একাধিকবার উপস্থিত হয়েছিলেন রামকৃষ্ণ। করেছিলেন দেবী দুর্গার আরাধনাও। শুধু কি তিনিই? উপস্থিত হয়েছিলেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, মধুসূদন দত্ত প্রমুখ।
পুজোর সময় হতো গানের আসর, যাত্রাপালা, নাটক। একবার রামকৃষ্ণ রমণী বেশে একই ঘরে ছিলেন মথুরবাবুর সঙ্গে। তবু তাঁকে চিনতে পারেননি মথুর। এই মথুর বাবু হলেন রানি রাসমণির জামাই। রাসমণি’র স্বামী ছিলেন রাজচন্দ্র দাস। রাজচন্দ্রের মৃত্যুর পরে বিশাল সম্পত্তি দেখাশোনার ভার রাসমণি দিয়েছিলেন মথুরকে। ফিরে আসা যাক, রমণী বেশের কথায়। রামকৃষ্ণদেব এই রমণী বেশেই দেবী দুর্গার চামরব্যজন করেছিলেন।
রানি রাসমণি’র এই দুর্গাপুজোয় থাকে রামকৃষ্ণ এবং সারদা’র প্রতিকৃতি। থাকে রাসমণি’র প্রতিকৃতিও। কুমারী পুজো, সন্ধিপুজো হয় রীতি মেনে। হয় না পশুবলি। ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় লুচি, দই, মিষ্টি, ভাজা, ক্ষীর, ফল। তবে অন্নভোগের রীতি নেই। বোধন হয় প্রতিপদেই। দেবী আরাধনা হয় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে।
একচালার প্রতিমার সাজ হয় শোলার। সরস্বতী’র বর্ণ সাদা। গণেশের মুখ সাদা ও দেহ গোলাপী বর্ণের। লক্ষ্মী’র বর্ণ গাঢ় হলুদ। কার্তিকের রং হালকা সবুজাভ। মহিষাসুরের বর্ণ গাঢ় সবুজ এবং দেবী দুর্গা উজ্জ্বল গেরুয়া রঙের।