এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পুজো শুরু হয় ১৫ দিন আগেই, দেবীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের রাজা

দেবীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের রাজা! ধরেছিলেন দেবীর চুলের মুঠি! এমনই সব জনশ্রুতি রয়েছে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির দুর্গাপুজোকে (DURGA PUJA) কেন্দ্র করে। এই মন্দিরের নাম সাবিত্রী। মন্দিরে পুজো শুরু হয় ১৫ দিন আগেই।

জনশ্রুতি, ঝাড়গ্রামের (JHARGRAM) এক রাজা গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন শিকারে। আর সেই জঙ্গলেই দেখতে পেয়েছিলেন অপরূপ সুন্দরী এক নারীকে। রূপে মুগ্ধ হয়ে রাজা তাঁকে দিয়েছিলেন বিয়ের প্রস্তাব। সেই নারী বলেছিলেন, রাজাকে সামনে হেঁটে যেতে। আর রাজার পেছনে পেছনে যাবেন তিনি। শর্ত ছিল একটাই, রাজা পেছনে ফিরে তাকাতে পারবেন না। তাতেই রাজি হ্যেছিলেন রাজা। জঙ্গল পেরিয়ে রাজপ্রাসাদে ঢোকার আগে আর ধৈর্য রাখতে পারেননি রাজা। ঘুরে তাকিয়েছিলেন পেছনের দিকে। আর তখনই দেখতে পান, অপরূপা সুন্দরী সেই নারী প্রবেশ করছেন মাটিতে। রাজা ছুটে গিয়ে ধরে ফেলেন নারীর চুল। তবে ততক্ষণে সুন্দরী মাটির নিচে। রাজার হাতে মাত্র কয়েক গোছা চুল। রাতে রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন, তিনি কোনও সাধারণ নারী নন। তিনি দেবী। ওই স্থানে মন্দির তৈরি করে পুজোর আদেশ দেন দেবী। রাজা ওই স্থানে মন্দির নির্মাণ করে সেই চুলেরই আরাধনা শুরু করেছিলেন। তাই পুজো হয়ে আসছে প্রথম থেকে। এখানে দেবী সাবিত্রী রূপে পূজিতা। দেখা যায়, দেবীর মুখমণ্ডল শুধু।

অন্যান্য দিনে পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীতে দেবীকে বোধন করে। এখানে পুজো শুরু হয় তার ১৫ দিন আগে থেকেই। আরাধনা শুরু হয় রাজ পরিবারের ‘অস্ত্র’কে পুজো করে। মানে, কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে শুরু হয়ে যায় পুজো। তার আগের দিন জিতাষ্টমী সন্ধ্যায় হয় দেবীর অধিবাস। মনে করা হয় ১০১৬ বঙ্গাব্দে সূচনা হয়েছিল পুজোর। এবারের পুজোর বয়স তার মানে ৪১৪ বছর। সাবিত্রী মন্দিরের কাছেই চণ্ডী মণ্ডপ। পুজো হয় এখানেই। দেবী এখানে ‘পটেশ্বরী’। দেবী চিত্র পটে আঁকা বলে দেবীর এমন নামকরণ। পটের সামনে ঘট স্থাপন করে করা হয় পুজো। আর বিজয়া দশমীর দিন ‘পাটাবিঁধা’র করে সমাপ্তি হয় পুজোর। কী এই পাটাবিঁধা? একটি কলাগাছকে সামনে রেখে সেখানে তির নিক্ষেপ করে বধ করা হয় ‘রাক্ষস’। অশুভ শক্তির বিনাশের মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হয় পুজো।

পুজো কেন ১৫ দিন আগে শুরু হয়? শোনা যায়, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে জিতাষ্টমীর দিন পুজো করা হয় জীমূতবাহন বা দেবরাজ ইন্দ্রের। তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো। জনশ্রুতি, বহু বছর আগে রাজপুত বংশীয় অধিপতি পরাজিত করেছিলেন ঝাড়গ্রামের ‘জঙ্গল রাজা’ মালকে। সেই থেকেই তিনি অধীশ্বর হয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের। রাজ্যাভিষেকের দিন ছিল ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথি। এই তিথিতে হয়েছিল ‘ইন্দ্রাভিষেক’। এই ইন্দ্রাভিষেকের দিন  থেকেই শুরু হয় পুজো।

– নিসর্গ নির্যাস

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘বাংলার বাঘ হয়ে থাকব, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব’, গর্জন অভিষেকের

৪২ ডিগ্রিতে ORS মেশানো জল খেয়ে শরীর সতেজ রাখছে হরিণের দল

তদন্তে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে সন্দেশখালিতে হাজির সিবিআই গোয়েন্দারা

‘রায়গঞ্জের সাংসদ জবাব পাবেন দক্ষিণ কলকাতায়’, দেবশ্রীকে আক্রমণ অভিষেকের

তীব্র দাবদাহ থেকে পুলিশ আধিকারিকদের বাঁচাতে হাওড়া সিটি পুলিশের বিশেষ কিট প্রদান

কার ভোটে সুমিতা থাবা বসাবেন, হিসাব কষছে দুই ফুলই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর