নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। তারপর ১ অক্টোবর ষষ্ঠী। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো (DURGA PUJA)। বীরভূমের এই ২ বাড়িতে পুজোর রীতি এমনই। নবমী থেকে এক পক্ষ কাল আগেই শুরু হয়ে যায় আরাধনা। বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ও বালিজুড়ি এলাকায় এভাবেই পুজোর রেওয়াজ।
মহানবমীর একপক্ষকাল আগে পড়ে কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি। এই দিনেই মঙ্গলঘট আনা হয়। দুই পরিবার ঘট নিয়ে আসে যমুনা সায়র থেকে। স্নান করানো হয় নবপত্রিকাকে। করা হয় বোধন। রায় পরিবারের পুজো প্রায় সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন। চট্টোপাধ্যায়- বন্দ্যোপাধ্যায়-মুখোপাধ্যায়দের শরিকি পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন। এবারে, এই দুই বাড়ির পুজো শুরু হয়েছে গতকাল থেকেই। আনা হয়েছে মঙ্গলঘট। হয়েছে কলা বৌ স্নান ও বোধন। তারপর থেকেই চলছে দেবীর উপাসনা।
বালিজুড়ি এলাকার প্রাচীন এই পুজো করেন রায় পরিবারের সদস্যরা। শোনা যায়, জনৈক এক কাপালিক এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। সেই রীতি অনুসরণ করেই বংশ পরম্পরায় দেবীর আরাধনা করেন রায় পরিবারের সদস্যরা।
দুবরাজপুরের প্রাচীন পুজোর প্রচলন করেছিলেন রাজনগর নবাব আলনকি খানের দেওয়ান কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়। সময়টা ১১১১ বঙ্গাব্দ। তখন বীরভূমের রাজধানী ছিল রাজনগর। দুর্গাপুজোর জন্য নবাব দিয়েছিলেন ৬৪ বিঘা জমি, একটি বড় ও ৭টি ছোট পুকুর। এই চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর শরিক এখন মোট ৩ পরিবার। চট্টোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায় ও বন্দ্যোপাধ্যায়।