প্রতিটা অলিগলিতে বা মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিপ্লব যদি থেকে থাকে তবে তা মেদিনীপুরে (MIDNAPORE)। রাজনীতি হোক বা অরাজনৈতিক আন্দোলন, পথ দেখায় মেদিনীপুর। একথা মুখ ফুটে কেউ বলুক বা না বলুক। মানতে বাধ্য সকলে।
এলাকা তখন এত জনবহুল নয়। সেখানেই ব্রাহ্ম সমাজের জায়গায় কালী মন্দির। দত্ত জমিদারির এক্তিয়ারেই হত পুজো। প্রায় ২৫১ বছরের পুরনো মন্দির। এখন পুজোর দায়িত্বে পাড়ার অধিবাসীবৃন্দ।
সারা দেশে বিপ্লবের আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। তার পীঠস্থান মেদিনীপুর। আঁতুড়ঘর শহরের কর্ণেলগোলা। এলাকাজুড়ে দাপুটে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের (FREEDOM FIGHTERS) বাস। বিমল দাশগুপ্ত, সত্যেন বোস, জ্ঞান বোস, কিশোরী পাতিরায়, সাতকড়ি পাতিরায়। কে থাকতেন না! সর্বদা বিপ্লবীদের আনাগোনা ও বৈপ্লবিক কার্যকলাপ লেগে থাকত। উদ্বুদ্ধ হতো অসংখ্য তরুণ। কেঁপে উঠেছিল ইংরেজ শাসন স্তম্ভের ভিত।
মন্দির জুড়ে ছিল বিপ্লবীদের দাপট। অস্ত্র দীক্ষা পূর্ণ হলে মা কালীর সামনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হত তরুণ গরম রক্ত। দেবীকে পুজো করে তবে বিপ্লবের কাজে ব্রতী হত। কালিকা যে দুষ্টের বিনাশের আধার। জনশ্রুতি, এই মন্দিরেই দীক্ষা নিয়েছিলেন বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। যেই ছোঁড়াটা বারবার কাঁপিয়েছে সাদা চামড়াদের বুক।
– নিসর্গ নির্যাস মাহাতো