নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতের জাতীয় পতাকার (INDIAN NATIONAL FLAG) পথচলার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা’র নকশা প্রথম করেছিলেন অস্ত্রগুরু হেমচন্দ্র কানুনগো। তবে সেই ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা এখনকার মত নয়। আজ আমরা যে জাতীয় পতাকা দেখি তা হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া’র হাতে। সেই পথচলারও ইতিহাস দীর্ঘ। তাঁর প্রথম তৈরি নকশার বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি গর্বের জাতীয় পতাকা।
১৯১৬ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ভাটলাপেনামারু গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া একটি পতাকার নকশা করেন। তা নজরে আসে এস বি বোমানজি এবং উমর সোবানির। পিঙ্গালি সেই পতাকা গান্ধিজিকে দেখিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধির নির্দেশ ছিল, লাল এবং সবুজ রঙের সঙ্গে চরকা যুক্ত করার। জাতীয় কংগ্রেসের আমেদাবাদ অধিবেশনে উত্তোলিত হয় নতুন নকশা- সাদা, সবুজ ও লাল রঙের পতাকার। যার মাঝে নীল রঙা চরকা। সালটা ১৯২১।
দু’ বছর পরে ১৯২৩ সালে কংগ্রেসের বৈঠকে এই পতাকার নকশা আবার বদলে যায়। সেই পতাকার ওপরে ছিল সাদা, মাঝে সবুজ ও নিচে লাল রঙ। মাঝে ছিল নীল রঙের চরকা। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত উত্তোলিত হয়েছিল এই পতাকা। ১৯৩১ সালে করাচি কংগ্রেস অধিবেশনে ঠিক হয় পতাকা হবে গেরুয়া, সাদা, সবুজ রঙের। মাঝে থাকবে নীল রঙের চরকা। ওই পতাকার নকশাও পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার।
তারপর ১৯৪৭ সাল। গণ পরিষদের পতাকা কমিটির প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পরে ভেঙ্কাইয়ার নকশার ত্রিবর্ণ পতাকায় চরকার বদলে যুক্ত হল সারনাথ স্তম্ভের ‘অশোক চক্র’/ ‘ধর্মচক্র’। ১৪ অগাস্ট মধ্যরাত্রি ১২টা’র পরে ১৫ অগাস্ট প্রথম উত্তোলিত হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। সেই থেকে একই নকশার পতাকা আজও আমাদের অহংকারের। উল্লেখ্য, জাতীয় পতাকা তৈরি হয় খাদি কাপড় দিয়ে।