নিজস্ব প্রতিনিধি: লেক কালীবাড়ি’র কালীপুজো সকলেরই জানা। দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর (ঢাকুরিয়া লেক)-এর কাছে এই মন্দির। আরও ভালো ভাবে বলতে গেলে সাদার্ন এভিন্যু’তে জনপ্রিয় এই মন্দির। মন্দিরের পোশাকি নাম শ্রী শ্রী ১০৮ করুণাময়ী কালীমাতা মন্দির। তবে নাম লেক কালী বাড়ি কেন? লেকের কাছে এই মন্দির বলেই, এমন নাম। আর মন্দিরের নামই লোকমুখে হয়ে গিয়েছে জায়গার নাম। এখানে জগদ্ধাত্রীপুজোও (JAGADHATRI PUJA) বেশ বিখ্যাত।
১৭ (বছরে) বছরে পদার্পণ করল লেক কালী বাড়ির এই জগদ্ধাত্রী পুজো। এই দিনে হয় গোপাষ্টমী পুজোও। বিশ্বাস, গো মাতার মধ্যেই বিরাজ করেন ৩৩ কোটি দেব-দেবী। তাই গো মাতা’কে পুজো করেই সূচনা হয় গোপাষ্টমী উৎসব।
প্রসঙ্গত, দেবী কালিকার পরম ভক্ত ছিলেন সাধক হরিপদ চক্রবর্তী। তিনি ছিলেন তন্ত্রসাধক। জনশ্রুতি, দেবী কালিকা এই তন্ত্রসাধককে দর্শন দিয়েছিলেন। তারপর সাধক হরিপদই এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পঞ্চমুণ্ডি’র আসন। জানা গিয়েছে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তবে তিনি ছিলেন দরিদ্র। স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরে দেবীর কাছে তাঁর প্রার্থনা ছিল, পুজোর এই গুরুভার তিনি কী করে বহন করতে পারবেন? দেবী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁর (কালী) পুজোর দায়িত্ব তিনি নিজেই (কালী) নেবেন। দেবী যেখানে অধিষ্ঠাত্রী সেই স্থানে আগে ছিল পাতার কুটির। পরে তা মন্দির হয়। তারপর বারবার বহুবার হয়েছে সংস্কার। মন্দিরে রয়েছে দেবী বগলা, দেবী সন্তোষী, দেবী ধূমাবতী’র বিগ্রহও। হচ্ছে দেবী শীতলা এবং দেবী মনসা’র মূর্তি। উল্লেখ্য, মন্দির চত্ত্বরে আছে সাধক হরিপদ চক্রবর্তী’র মূর্তিও।
মন্দিরের সামনেই হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। মহা নবমীর দিনে তিন প্রহরে হয় দেবীর আরাধনা।
আরও পড়ুন: ৩৩৩ বছর ধরে হ্যাজাকের আলোতেই আরাধনা হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর