28ºc, Haze
Tuesday, 28th March, 2023 10:53 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: চারিদিকে আলোর ঝলকানিতেই পুজো হয়। দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রীর (JAGADHATRI)। আর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো তো আলোর জন্যই বিখ্যাত। তবে এমনও জায়গা আছে যেখানে জগদ্ধাত্রী পুজোতে বৈদ্যুতিক আলো নিষিদ্ধ। পুজো হয় হ্যাজাকের আলোতে। এটাই ঐতিহ্য।
বাঁকুড়ার পত্রসায়র ব্লকের বামিরা গ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় হ্যাজাকের আলোতেই। স্থানীয়দের দাবি, বৈদ্যুতিক আলোর ঝলকানি মায়ের না পসন্দ, তাই ৩৩৩ বছর ধরে হ্যাজাকের আলোতেই আরাধনা হয়ে আসছে দেবী মা’র। জানা গিয়েছে, পুজো পরিচালনায় বেশ কয়েকবার মালিকানার পরিবর্তন হলেও এই পরম্পরা চলে আসছে বহুযুগ ধরেই।
জনশ্রুতি, ১৯৭১ সালে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের এক সদস্য একবার প্রথা ভেঙে মন্দির জুড়ে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেই না কি ঘটতে থাকে একের পর এক অঘটন। এরপরে আর প্রথা ভাঙার সাহস পায়নি কেউ।
শোনা যায়, স্থানীয় রায় পরিবারের হাতে সূচনা হয়েছিল বামিরা গ্রামের এই পুজোর। তারপর, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে পুজো পরিচালকদের মালিকানা। একসময় এই পুজোর ভার হাতবদল হয়ে আসে গ্রামেরই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের হাতে। তারপরেও পরিবর্তন হয়েছে পুজো উদ্যোক্তা। বর্তমানে এই পুজোর ভার রয়েছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাতে।
পরিবারের সদস্য বলেন, সমস্ত রীতি রেওয়াজ মেনেই করা হয় মায়ের পুজো। মা আড়ম্বর চান না বলেই এখনও হ্যাজাকের আলোতে সাদামাটা ভাবে আরাধনা করা হয়। তবে এই পুজোতে একদিনেই হয় সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আরাধনা।
আরও জানা গিয়েছে, জঙ্গল থেকে আদিবাসী মহিলারা নিয়ে আসেন কাঠ ও শালপাতা। তাতেই সাজানো হয় পুজোর নৈবেদ্য। এই ব্যতিক্রমী ভাবনাই মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে পুজোকে ।
আরও পড়ুন: পুরুষতন্ত্রের দম্ভ ভেঙেছিলেন দেবী জগদ্ধাত্রী