এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কার্তিকের দু’টি বিয়ে, আরেঞ্জড ও লাভ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙালিদের বিশ্বাস কার্তিক (KARTIK) ঠাকুর চিরকুমার। দেবকন্যা ঊষাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে করতে চাইলেও তাঁদের বিয়ে হয়নি। তবে দক্ষিণভারতে বিশ্বাস করা হয়, কার্তিক ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন দু’টি। একটি লাভ এবং একটি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ।

শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে তারকাসুরকে বধ করেন কার্তিক। এরপরে দেবরাজ ইন্দ্র কন্যা (মতান্তরে প্রজাপতি ব্রহ্মার কন্যা) দেবসেনার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় কার্তিকের। তিনি তখন ‘দেবসেনাপতি’। দেব সৈন্য পরিচালনা করেছিলেন বলে এই নাম না কি দেবসেনার পতি (বর) বলে এই নাম তা আলোচনা সাপেক্ষ।

আরও পড়ুন: কার্তিকের সঙ্গে বিয়ে হতে হতেও হল না ঊষার, জানুন দেবসেনাপতির কথা

তবে কার্তিকের অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হলেও তিনি পরে লাভ ম্যারেজও করেছিলেন। সেই দ্বিতীয় বিয়ে তিনি করেছিলেন মর্ত্যে। পুরাণ অনুযায়ী, কার্তিক ও গণেশের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা জানতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। ঠিক হল, যে আগে সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে সেই শ্রেষ্ঠ। কার্তিক তাঁর বাহন ময়ূরে চড়ে সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন। অন্যদিকে, গণেশ কৈলাসে শিব- গৌরীকে (বাবা-মা) পৃথিবী জ্ঞানে প্রদক্ষিণ করেন। কার্তিক এসে জানতে পারেন, বিজয়ী হয়েছেন গণেশ। তাঁর বুদ্ধির প্রশংসাও করা হয়।

এরপরে অভিমানে কৈলাস ত্যাগ করে স্ত্রী দেবসেনাকে নিয়ে মর্ত্যে আসেন কার্তিক। বসবাস করতে থাকেন দক্ষিণ ভারতের এক পাহাড়ে। সেখানের মানুষ তাঁদের বরণ করে নিল সাগ্রহে।

একদিন কার্তিক (মুরুগণ) দেখতে পান পাহাড়ি অঞ্চলের ক্ষেতে ফসল পাহারা দিচ্ছেন এক যুবতী। তাঁর গায়ের রং শ্যামলা। শিবপুত্রের মনে ধরল তাঁকে। এরপরে বৃদ্ধের ছদ্মবেশে ওই যুবতীর কাছে গিয়ে তাঁর নাম জানতে চান মুরুগণ। জানতে পারেন, ওই যুবতীর নাম বল্লী। তিনি সেখানের স্থানীয় রাজা নম্বিরাজের কন্যা। এরপরে কার্তিক তাঁকে বিবাহ প্রস্তাব দেন। কিন্তু রেগে নাকচ করে দেন বল্লী। কার্তিক তখন তো বৃদ্ধের বেশে। তিনি যে এত বীর, এত সুপুরুষ, এত সুন্দর- বল্লী সেসব কিছুই জানতেন না।

আরও পড়ুন: দেব সৈন্য পরিচালনা করেছিলেন বলেই কার্তিক ‘দেবসেনাপতি’? কারণ আছে আরও…

কার্তিক এরপরে ভাই গণেশকে স্মরণ করেছিলেন। গনেশ উন্মত্ত হাতির রূপ ধারণ করে বল্লীর সামনে আসেন। হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে ছদ্মবেশী কার্তিককে জড়িয়ে ধরেছিলেন বল্লী। কার্তিক তখন প্রতিশ্রুতি চান যুবতীর কাছে। ওই হাতির কাছ থেকে বাঁচাতে পারলে তাঁকে বিয়ে করবেন বল্লী- এই কথা দিতে বলেন। বল্লী বাধ্য হয়ে সেই কথায় সায় দেন। তখন তাঁর দুই চোখ ভয়ে বন্ধ। এরপরেই সেই মত্ত হাতির থেকে রক্ষা পান বল্লী। আর চোখ খুলে দেখেন, কোথায় সেই বৃদ্ধ! তাঁর জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন রূপবাণ, গুণবান যুবক। তারপরে তাঁদের বিয়ে হয় ধুমধাম করে।

এরপরেই না কি কার্তিক ৬ টি ঘর তৈরি করেছিলেন। তাতে অস্ত্র এবং প্রেম চর্চা হত। আর সেই ঘরগুলি ছিল অস্ত্রে পরিপূর্ণ। এই ৬টি ঘরই না কি সবচেয়ে প্রখ্যাত কার্তিক মন্দির। আর তা রয়েছে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণভারতে তিনি মুরুগান (ময়ূর যার বাহন) নামে পরিচিত। এই মুরুগান মন্দির গুলি- পালানী, স্বামীমালাই, পাঝামুদিরচোলাই,  থিরুচেন্দুর, থিরুথানি এবং থিরুপ্পারামকুমারাম। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুতে বিশ্বাস করা হয় ওই প্রদেশের রক্ষাকর্তা মুরুগান।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গন ভাইফোঁটার পরিকল্পনা নিয়েছে বসিরহাটের ‘নবোদয় সংঘ’

বনগাঁ থানার এবারের কালীপুজোর থিম ‘ কৈলাস পর্বতে মহাদেব’

বাঁকুড়ার সাঁতরা বাড়ির “বড় বৌমা” পূজিত হলেন মা কালীর রূপে

নৈহাটির বড়মার পুজোয় ভক্তদের ভিড়

তারাপীঠে সারারাত খোলা থাকছে গর্ভ গৃহের দরজা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন উপবাস, নিজের হাতে রান্না করলেন ভোগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর