নিজস্ব প্রতিনিধি: দেব সেনাপতি (KARTIK) চিরকুমার। বাঙালির কাছে কার্তিক (KARTIK) ঠাকুর অবিবাহিত। তবে সত্যিই তিনি বিয়ে করেননি? দক্ষিণ ভারতে বিশ্বাস, তিনি বিবাহিত। এখানে মনে রাখতে হবে, কার্তিক ঠাকুর বৈদিক নন, তিনি পৌরাণিক।
লোককথা অনুযায়ী, দেব সেনাপতি একবার অসুরদের পরাজিত করে ফিরছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল এক দেবকন্যার। নাম তাঁর ঊষা। কার্তিক বিবাহ প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হয়েছিলেন। দুজনের দেখা হয়েছিল ধানক্ষেতে। সেখানেই তরুণীকে দাঁড় করিয়ে দেব সেনাপতি ছুটে গিয়েছিলেন মা দুর্গার (DURGA) কাছে।
মায়ের অনুমতি নিয়ে তরুণীও কাছে ফিরে যাওয়ার সময়ে কার্তিকের হঠাৎ মনে পড়ে মাকে প্রণাম করাই হয়নি। ফের মাঝ রাস্তা থেকে তিনি রওনা দেন বাড়িতে। তবে ঘরে কোথাও দেখতে পাননি দেবী দুর্গাকে। সব জায়গা খুঁজতে খুঁজতে রান্নাঘরে এসে দেখেন, দেবী দুর্গা গোগ্রাসে মহিষ ভক্ষণ করছেন। এত তাড়াহুড়ো করে খাচ্ছেন কেন প্রশ্ন করায় দেবী তাঁর পুত্রকে জানান, পুত্রবধূ এসে যদি মাকে খেতে না দেন এই আশঙ্কা থেকেই। তা শুনে কষ্ট পেয়েছিলেন কার্তিক। ঠিক করেছিলেন আর বিয়েই করবেন না।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ ধানক্ষেতে অপেক্ষা করে ঊষা সমস্ত কথা জানতে পারেন। লজ্জায় তিনি লুকিয়ে পড়েন ধানক্ষেতে। সেই থেকেই চিরকুমার কার্তিক। অবশ্য এই কথা বাংলার লোককথা। দক্ষিণ ভারতে বিশ্বাস করা হয়, কার্তিক ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ২টি।
আরও পড়ুন: দেব সৈন্য পরিচালনা করেছিলেন বলেই কার্তিক ‘দেবসেনাপতি’? কারণ আছে আরও…
ফিরে আসা যাক বাংলার লোককথায়। কার্তিক মাসে ধানের শিষকে বলা হয় ঊষা। দেব সেনাপতির পুজোতেও ব্যবহার করা হয় নতুন ওঠা ধানের শিষ।
কার্তিক চিরকুমার না বিবাহিত, তা আলোচনা সাপেক্ষ এবং তর্কের বিষয়। বাগধারাতেই রয়েছে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর’।