নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙালির সঙ্গে মিষ্টির যতই চিরন্তন সম্পর্ক হোক না কেন আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছেন যারা মিষ্টি পছন্দ করেন না। আর যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে তো হয়েই গেল। মিষ্টি ছাড়াই পার্বণ কাটে তখন তাঁদের। কিন্তু মিষ্টি না খেতে পারলেও বাঙালির এম্ন অনেক নোনতা পদ রয়েছে যেগুলি ছাড়া বিজয়া দশমী প্রায় অসম্পূর্ণ। নারকেল দিয়ে ঘুগনি হল সেইরকমই একটি পদ। খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি সহজে ঘরেই বানানো যায় এই পদটি। অন্যদিকে দশমীতে আগত অতিথিদের কেউ যদি মিষ্টি দেখে নাক কোঁচকান তাহলে তাঁদেরও মনে ধরবে এই সুস্বাদু পদটি। আর তাই আসুন জেনে নিই কিভাবে ঘরে বানাবেন এই অসাধারণ রান্নাটি।
কি কি লাগবেঃ
হলুদ মটর: দেড় কাপ
আদা: দেড় ইঞ্চি (কোরানো)
আলু: ১টা ছোট (ডুমো করে কাটা)
পাঁচ ফোড়ন: দেড় চা চামচ
গোটা জিরে: ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা: ২টো
হিং: ১ চিমটি
তেঁতুল ক্কাথ: ১ টেবল চামচ
লেবর রস: ১টা লেবুর
গুঁড়ো হলুদ: ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ভাজা মশলা: আধ চা চামচ
সর্ষের তেল: ২ টেবল চামচ
নারকেল কুচি: ২ টেবল চামচ
নুন: স্বাদ মতো
ধনেপাতা কুচি: এক মুঠো
কী ভাবে বানাবেনঃ
হলুদ মটর পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিন। অন্তত ৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখলে ভাল। এ বার মটর ও আলু প্রেসার কুকারে নুন, হলুদ দিয়ে ২টো হুইসল ওঠা পর্যন্ত সিদ্ধ করে নিন। আঁচ বন্ধ করুন।
কড়াইতে মাঝারি আঁচে পাঁচ ফোড়ন শুকনো নেড়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ও হিং ফোড়ন দিন। নারকেল কুচি দিয়ে এক মিনিট নেড়ে টোম্যাটো কুচি দিন।
নুন দিয়ে তেল ছেড়ে আসা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। তেল ছাড়তে শুরু করলে আদা, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিন। এ বার সিদ্ধ মটর কড়াইতে ঢেলে দিন। নাড়তে থাকুন। যখন ঘুগনি ফুটতে শুরু করবে ভাজা মশলা ও পাঁচ ফোড়ন গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। সব শেষে তেঁতুলের ক্কাথ ও লেবুর রস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিন।
পরিবেশনের আগে ধনেপাতা কুচি ও নারকেল কোরা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।