নিজস্ব প্রতিনিধি : কথায় আছে- মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ হলেই বাঙালি আর পরিচয়ের দরকার নেই। তবে চিতল মাছের মুইঠ্যা একটি খুব পুরোনো বাঙালি রেসিপি। ঠাকুমা দিদিমাদের মুখে শুনে থাকি সেকালের চিতল মাছের মুইঠ্যা কিভাবে বানানো হত। গন্ধে সারা পাড়া একাকার। খেতেও এত সুস্বাদু যে জিভে জল চলে আসবে। তবে বেশি না ভেবে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন ঠাকুমা দিদিমাদের হাতের চিতল মাছের মুইঠ্যা।
উপকরণ : চিতল মাছের গাদা (হাড় সহ পুরো বড় অংশ, ছোট টুকরা নয়) ৫০০ গ্রাম, তেল, আলু ২ টি, টমেটো ২ টি, পেঁয়াজ ২ টি, আদা লঙ্কা পেস্ট ২ টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা ৩ টি, রসুন পেস্ট, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ৩ টি, জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, গরম মশলা ১ চা চামচ, লবণ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
প্রণালী : প্রথমে মাছ পরিষ্কার করতে হবে ভাল করে। এরপর হাড় থেকে আলাদা করার জন্য একটি চামচ দিয়ে মাছের মাংস স্কুপ করতে হবে। বাজারে মাছওলাদের মুইঠ্যা করব বললে ওরাই কেটে দেয় অনেকসময়।এবার ভাল করে ধুয়ে চামচ দিয়ে গাদা থেকে মাছ কুড়ে বের করে নিতে হবে।এর একটা কায়দা আছে।এমন করে কুড়তে হবে যাতে কাঁটাগুলো উঠে না আসে।শুধু মাছটাই আসে। একটু খেয়াল করে চামচ একদিকেই টানতে হবে।নইলে কাঁটা মিশে যেতে পারে। একটু সাবধানে করতে হবে।
এরপর আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন।তারপর আলুর পেস্ট ম্যাশ করুন।পেঁয়াজ এবং টমেটো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।অন্যান্য উপকরণ ও মশলাগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর একটি কড়াই বা প্যানে তেল গরম করুন। গরম করা তেলে মিশ্রণের ছোট ছোট বল (পাকোড়ার আকার) আকারে করে ভেজে তুলতে হবে।সব মিশ্রণ ভাজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন আলাদা করে। এরপর এই তেলেই আদা বাটা, রসুন বাটা, তেজপাতা, পেঁয়াজ এবং এবং টমেটো,জিরে গুঁড়ো লাল লঙ্কার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ২ মিনিট ধরে নাড়তে থাকুন। এরপর ভাজা মাছের বলগুলো সেই তেলের মধ্যেই দিয়ে দিন। খুব বেশি ঝোল করে রাখা যাবে না। ৫ মিনিট পর এতে ঘি (২ চা চামচ) এবং গরম মসলা গুঁড়া (১ চা চামচ) দিয়ে দিন।স্বাদমতো লবণ হয়েছে কি না চেখে দেখুন। ব্যাস রেডি চিতল মাছের মুইঠ্যা। এটি চিলি সস ,সোয়া সসের সঙ্গেও পরিবশন করতে পারেন।